তিনি বলেছেন, করোনায় কলকারখানা বন্ধ থাকার ফলে গভীর সংকটে পড়েছে শিল্প-প্রতিষ্ঠানসহ দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। এ পরিস্থিতিতে সরকার জনগণের পাশে থেকে ত্রাণকাজ পরিচালনাসহ সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
করোনাভাইরাসের প্রতিঘাত মোকাবিলায় দেশের রফতানি খাতের শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে।
মেয়র বলেন, মহান মে দিবস শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের চরম আত্মত্যাগে ন্যায্য অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরণীয় দিন।
তবে অবশ্যই কঠোরভাবে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতর, সংস্থা যেমন-শিল্প পুলিশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মেয়র সবাইকে সঙ্গে নিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে সরকার অবশ্যই সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুক্রবার (১ মে) সকালে কাজির দেউড়ি বাজার সংলগ্ন চত্বরে বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম নগর শাখার ৩৫০জন শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে মেয়র ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইফতার ও সেহেরি সামগ্রী উপহার দেন।
এ সময় বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার, নুরুল আবচার তৌহিদ, ইয়াছিন সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, বহদ্দারহাট মাইক্রো চালক সমিতির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ইউএসটিসি শ্রমিক ইউনিয়নের মোহাম্মদ মানিক মিয়া, বাবুর্চি সমিতির সভাপতি আহমদ উল্লা, অটোরিকশা চালক সমিতির মোহাম্মদ নাছির, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, বিভিন্ন দেশ পুরোপুরি কিংবা আংশিক অবরুদ্ধ। যার ফলে সারা বিশ্বের শ্রমশক্তির ৮১ শতাংশই এখন কর্মহীন। বাংলাদেশে প্রায় দেড় মাস ধরে কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে শিল্পকারখানার।
তিনি নগরের খেটে খাওয়া মানুষ যারা দিন এনে দিন খায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২০
এআর/এমআর/টিসি