ঢাকা, সোমবার, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মশার ওষুধ ছিটানোতে গাফিলতি সহ্য করবো না: মেয়র নাছির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২০
মশার ওষুধ ছিটানোতে গাফিলতি সহ্য করবো না: মেয়র নাছির সাবান বিতরণ করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নগরে মশার ওষুধ ছিটানোর কাজে নিয়োজিতদের স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, এতে কোনো ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না। অভিযোগ পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, চসিকের হাতে মশা এবং মশার লার্ভা ধ্বংসকারী পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। প্রয়োজনে আরও ওষুধ কেনা হবে।

তাই মশাবাহিত চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোধে প্রতি ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিষ্কারসহ নালা-নর্দমায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) টাইগারপাসে চসিক সম্মেলন কক্ষে ওয়ার্ড সুপারভাইজারদের সভায় এসব কথা বলেন মেয়র।

তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে ৪টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে মশার প্রজনন স্থানে লারভিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে। ইতিমধ্যে ১৫০টি নতুন হ্যান্ড স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে। ১৬৪ জন পরিচ্ছন্নকর্মী একযোগে প্রতিদিন ৪১ ওয়ার্ডে নালা-নর্দমাসহ বাড়ির আঙিনায় ওষুধ ছিটাচ্ছে। চসিকে ১১০টি জার্মানির ফগার মোশিন ও ৩০০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন রয়েছে।

মেয়র বলেন, আমরা কিছু লার্ভিসাইড (মশার ডিম ধ্বংসকারী) ওষুধ সংগ্রহ করেছি। এগুলো নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছিটাচ্ছি। মশার উপদ্রব যতদিন কমবে না ততদিন পর্যন্ত এই ওষুধ ছিটানো হবে। নগরে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রধান প্রধান খালের মুখে বাঁধ দেওয়ায় পানি জমে আছে। সেখানে মশা জন্মের উর্বর স্থান। তাই এ প্রকল্পের দায়িত্ববান ব্যক্তির সঙ্গে আগেও কথা বলেছি। আবারো বলবো। সেটা হচ্ছে ওনাদের যে প্রকল্প চলমান আছে সেখানে পানি স্থির হয়ে আছে এবং সেখানে মশা প্রজনন হচ্ছে। ওনারা আমাদের একটা ধারণা দিয়েছেন পাইপের মাধ্যমে পানিগুলো অপসারণ করবেন। এর বাইরে আমরাও কার্যকর পদক্ষেপ নেবো।  

আগামী কয়েক মাস পর এডিস মশার বংশবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত সময় হবে। ভারী বর্ষণ কিংবা থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ির আশপাশ, ফুলের টব, আবর্জনা ফেলার পাত্র, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, ব্যাটারি শেল, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট এবং নালা-নর্দমায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার প্রজননের স্থান। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতার গুরুত্ব অপরিসীম।

বর্ষাকালে কোনো পাত্রেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। তার ওপর বৃষ্টির পর বাড়ির আশপাশে পানি জমে থাকলে তাও সংশ্লিষ্টদের পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। জমে থাকা এবং স্বচ্ছ পানি ছাড়া এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে  চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগকে দায়িত্বশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। পরিষ্কার, স্বচ্ছ ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসা, ফুলের টব, ছাদ, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।    

ত্রাণ বিতরণ

মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসচ্ছল ও অসহায়দের মধ্যে ভোগ্যপণ্য বিতরণ করা হয়েছে। প্রিয়া কমিউনিটি সেন্টারে সিটি মেয়র নিজহাতে এসব ভোগ্যপণ্য অসচ্ছলদের হাতে তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসানী, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, নাজমুল হক ডিউক, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনজুমান আরা বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল আহমেদ প্রমুখ।

২১ হাজার সাবান বিতরণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ড এলাকাবাসীর মধ্যে ২১ হাজার সাবান বিতরণ করেছেন মেয়র। সরকার গৃহীত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হাত ধোয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুলশী তুলাতলী নূর ও মদিনা মহল্লাবাসীর মধ্যে সাবানগুলো বিতরণের সময় কাউন্সিলর মোরশেদুল আলমসহ প্রকল্পের ক্লাস্টার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।