ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পালিয়ে থেকে অপকর্ম করে বেড়াতেন কনস্টেবল সোহেল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২০
পালিয়ে থেকে অপকর্ম করে বেড়াতেন কনস্টেবল সোহেল ...

চট্টগ্রাম: মাদকসেবনের কারণে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসায় ও নানা অপকর্মের কারণে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল সোহেল রানার বিরুদ্ধে। বিভাগীয় মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক ছিলেন সোহেল রানা। পলাতক থেকে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়াতেন।

বুধবার (১ এপ্রিল) সিএমপির পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত কনস্টেবল সোহেল রানাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের হয়।

মামলার আসামি অপর দুইজন হলো- ইমরান ও মোনাফ।

তারা পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিল। পুলিশ জানিয়েছে তারা সোহেলের অপকর্মের সঙ্গী হিসেবে ছিলেন অনেকদিন ধরে।

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরা বাজারে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) পরিচয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গণহারে চাঁদাবাজির সময় সোহেল রানা নামে এক কনস্টেবলসহ তিনজনকে আটক করে গণধোলাই দেয় জনতা। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

সোহেল রানাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয় বলে বাংলানিউজকে জানান সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন যুবক উপজেলার কুমিরা বাজারে একটি প্রাইভেটকারযোগে উপস্থিত হন। তাদের মধ্যে একজন নিজেকে সীতাকুণ্ড থানার এসআই পরিচয় দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা কেন জানতে চান। এসময় যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা তাদেরকে ধমকান তারা। তাদের একজনের কোমরে পিস্তলের বক্ম থাকায় সিভিল পুলিশ মনে করে ব্যবসায়ীরা ভয় পান। পরে কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায় করতে থাকেন তারা।

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন বাজারে উপস্থিত হন। পরে চেয়ারম্যানসহ অন্যদের কাছে ধরা খেয়ে যান তারা। এ সময় স্থানীয়রা তিনজনকে গণপিটুনি দেয়।

এ ঘটনার পর তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তিনজনের মধ্যে সোহেল রানা পুলিশের কনস্টেবল বলে নিশ্চিত হওয়ার পর সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায় সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ।

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সিএমপির পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত ছিল সোহেল রানা। মাদক সেবনের কারণে ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসায় ও নানা অপকর্মের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হয়েছিল। মামলা দায়েরের পর থেকে সে পলাতক ছিল। তার বাড়ির ঠিকানায় মামলার চিঠি পাঠানোর পরেও সে চিঠি রিসিভ করছিল না।

তিনি বলেন, সিএমপিতে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া আছে। আনুষ্ঠানিকভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার চাকরি চলে যাবে। আমরা কখনও অপরাধীদের প্রশ্রয় দেইনি। যারাই অপকর্ম করেছে সবার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।