হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টানা ১০ দিনের বন্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দিন দিন রোগীর সংখ্যা কমছে। এছাড়া করোনার ভয়ে রোগীরাও তেমন একটা হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মার্চ পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে ১২শ ৫৫ জন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশ কয়েকজন রোগীর স্বজন বাংলানিউজকে জানান, করোনার কারণে রোগীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ যেখানে সুস্থ হতে হাসপাতালে আসে সেখানে যদি আবার অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন কিছুই করার থাকে না। তাই নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেই ডাক্তারদের পরামর্শে রোগী নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করছি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আফতাবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে সার্বিকভাবে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। এখন অনেক বেড খালি রয়েছে। চমেক হাসপাতালে সর্দি-কাশি নিয়ে যেসব রোগী আসছেন তাদের জন্য বহিঃর্বিভাগে একটি ফ্লু কর্নার খোলা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১৬ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
১৯৫৭ সালে স্থাপিত হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। প্রথমে ১২০টি বেড থাকলেও বর্তমানে বেডের সংখ্যা ১৩শ ১৩টি। প্রতিদিন ধারণক্ষমতার প্রায় দেড়গুণ রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি থাকে। কিন্তু সম্প্রতি করোনা আতঙ্কের কারণে রোগীর চাপ কমে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮,২০২০
এমএম/এসি/টিসি