ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৫ হাজার মানুষের খাবার নিয়ে প্রস্তুত রাউজানবাসী

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
৫ হাজার মানুষের খাবার নিয়ে প্রস্তুত রাউজানবাসী ৫ হাজার মানুষের খাবার নিয়ে প্রস্তুত রাউজানবাসী

করোনা পরিস্থিতিতে শুরু থেকেই  সরব ছিলেন রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরী। এবার করোনা ভাইরাসের সতর্কতায় বাসা-বাড়িতে অবস্থানরত গরীব, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্যদ্রব্য সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন তিনি। তার মানবিক ডাকে সাড়া দিয়ে ইতিমধ্যেই রাউজানের রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকার, ডাক্তার, সমাজকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ এগিয়ে আসছেন মানবিকতার টানে।

তাদের আর্থিক সহায়তায় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য দ্রব্যে সংগ্রহ করে প্যাকেজিংয়ে ব্যস্ত সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের হেল্পডেস্ক টিম ও স্যোশাল সার্ভিসেস ইউনিয়ন অব রাউজানের নেতৃবৃন্দরা। রাউজানের মুন্সিরঘাটা চত্বরে অবস্থিত সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজানের কার্যালয়ে চলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী প্যাকেটজাত করণের কাজ।

গরীব মানুষের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিলেন রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরী।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড এর (ইসি) চেয়ারম্যান ও এই কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক এস.এ.এম হোসাইন বলেন, ফারাজ করিম চৌধুরী আমাদের বলেছেন,  যাতে করে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে এলাকার গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় না পড়েন সে লক্ষ্যে মানবিক কারণে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

ফারাজ করিম চৌধুরী বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার অসহায় মানুষ খুব কষ্টে আছে। বিশেষ করে রিক্সাচালক থেকে শুরু করে যারা শ্রমজীবি মানুষ তারা পরিবারের ভরণপোষণ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। এই সময়ে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তাদের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে রাউজানের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এগিয়ে এসেছে। আমি মনে করি সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের প্রতিবেশীদের মধ্যে যারা কষ্টে দিনাতিপাত করছে তাদের পাশে যদি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই তাহলে পরিবারগুলোর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তিন হাজারের অধিক পরিবারের জন্য খাদ্যদ্রব্য ও ওষুধ সামগ্রী প্রদানের লক্ষ্যে প্যাকেটজাত করণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে আরো অধিক পরিবারকে এই সহায়তার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই বিষয়ে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে আমাদের এই প্রচেষ্টা আরও বেগবান হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।