নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর হলের প্রতিটি কক্ষ সিলগালা করা হয়। কিন্তু সব হল শিক্ষার্থীশূন্য হলেও শাহজালাল ও শাহ আমানত হল দখল করে বসে আছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল টিপু সহ তার অনুসারীরা হলেই থাকেন।
এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও দুই হলে কর্মরত বেশ কয়েকজন জানান, হল বন্ধ ঘোষণা করলেও এখনও বেশ কয়েকজন হলে থাকেন। তবে দিনের বেলায় তেমন একটা আওয়াজ শোনা যায় না। রাত হলেই তাদের উপস্থিতির শব্দ শোনা যায়।
গত শুক্রবারও সামাজিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হল থেকে তারা অনুসারীদের নিয়ে বের হন বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কেউ হলে থাকি না। আমাদের কয়েকজন ছোট ভাই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে এসেছিল। তা নিয়ে আবার চলে গেছে৷
এ ব্যাপারে শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট গোলাম কবির বাংলানিউজকে বলেন, আমার হলে এমন কেউ থাকার সুযোগ নেই। তবে যারা দূরে থাকে- তারা হয়তো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে এসেছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থায়ীভাবে থাকার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে রোববার (২২ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সহ তিনজন সহকারী প্রক্টর হল পরিদর্শনে যান। এসময় শাহজালাল হলে কাউকে পাওয়া না গেলেও শাহ আমানত হলে সভাপতি ও তার অনুসারীদের দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, হল বন্ধ করার পরও হলে অবৈধভাবে থাকছে অনেকে। শাহ আমানত হলে কয়েকজনকে পাওয়া গেছে। আমরা তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে কক্ষগুলো সিলগালা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
এমএম/এসি/টিসি