ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার কারিগর মানুষের মেধা: ড. কায়কোবাদ  

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার কারিগর মানুষের মেধা: ড. কায়কোবাদ   ইডিইউতে ইঞ্জিনিয়ারিং ডে উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ড. মো. কায়কোবাদ।

চট্টগ্রাম: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেছেন, মানুষের সার্থকতা তার মেধায়, মননে। সেরা হতে তাই সম্পদের প্রাচুর্য নয়, প্রয়োজন মেধার বিকাশ। আমাদের মনে রাখতে হবে, প্রযুক্তির অগ্রযাত্রার মূল কারিগর মানুষের মেধা।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) দু’দিনব্যাপী ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডে ২০২০’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সারাদেশ থেকে ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক দলের অংশগ্রহণে শুরু হয়েছে আগামীর প্রকৌশলীদের এ উৎসব।

আজ (শনিবার) বিকেলে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে এই আয়োজনের। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান।

ড. কায়কোবাদ আরো বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তুলনায় আমরা কোনো দিকেই কম মেধাবী নই। বিশ্বমঞ্চে আমরাও বিজয়ের নিশান উড়িয়েছি। তাই বাংলাদেশি হিসেবে হীনমন্যতায় ভোগার কিছু নেই। নাগরিক উন্নত হলে দেশও উন্নত হয়। শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী নাগরিক হয়ে ওঠার আহ্বান জানান এ জ্ঞানতাপস।

প্রধান অতিথি ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে অনেক পুরনো কাজ-পেশা হয়তো অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে। তাদেরকে কিভাবে পুনর্বাসন করা যায়, তাও আমাদের ভাবতে হবে। তাই বিজ্ঞানের পাশাপাশি সমাজবিজ্ঞানও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, ভবিষ্যৎ শিল্প বিপ্লবে যাতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিতে পারে, তার জন্য আমরা শুরু করছি ইডিইউ ফিউচার ফ্যাক্টরি। রোবট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট মেশিন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন ডেটা- এ ধরনের অ্যাডভান্স প্রযুক্তিতে সেরা হয়ে ওঠার জন্য চর্চা ও অনুশীলনের প্লাটফর্ম দিচ্ছে ইডিইউ।

স্বাগত বক্তব্য দেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. মুহাম্মদ রকিবুল কবিরসহ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

দুই দিনব্যাপী আয়োজনে ৭টি প্রতিযোগিতায় প্রকৌশলীদের মেধার পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় হ্যাকাথন ও ইঞ্জিনিয়ারিং অলিম্পিয়াড। দ্বিতীয় দিনে প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, প্রজেক্ট শো-কেইস, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, আইডিয়া কনটেস্ট এবং রোবো সকার কম্পিটিশন চলছে।

এছাড়া ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টেক টক। এতে প্রথম দিন ‘বিগ ডাটা, ডাটা এনালিটিক অ্যান্ড আইওটি’ বিষয়ে আলোচনা করেন চুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল আরেফিন ও গ্রামীণফোনের প্রোডাক্ট ম্যানেজার মুহাম্মদ জাকারিয়া হায়দার।

শনিবার দ্বিতীয় দিন ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভলিউশন অ্যান্ড বিজনেস ইন্টেলিজেন্স’ বিষয়ে টেক টকে অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের জেনারেল সেক্রেটারি মুনির হাসান, স্যামসাং বাংলাদেশের চিফ টেকনোলজি অফিসার জুবেরুল ইসলাম, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম হেড অব সার্কেল মার্কেটিং রেজওয়ান চৌধুরী এবং অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কন্ট্রোলস লিমিটেড এর পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাওহিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।