ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সনদপত্রে ‘চিটাগং’ এর পরিবর্তে বসছে চট্টগ্রাম

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
সনদপত্রে ‘চিটাগং’ এর পরিবর্তে বসছে চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ইংরেজি বানান পরিবর্তনে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রায় ২ বছর পর চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদপত্রে ‘চিটাগং’ এর পরিবর্তে ‘চট্টগ্রাম’ বসানো হচ্ছে।

২০১৯ সালে বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষার্থীরা ‘বোর্ড অফ ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন, চিটাগং বাংলাদেশ’ এর পরিবর্তে ‘বোর্ড অফ ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশ’ লেখা অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদপত্র হাতে পাবেন।

পরীক্ষার্থীদের হাতে চিটাগং এর পরিবর্তে চট্টগ্রাম লেখা অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদপত্র তুলে দিতে ইতোমধ্যে গাজীপুরের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট এবং ১ লাখ ৮২ হাজার সনদপত্র ছাপানো হয়েছে।

পারসোনালাইজেশনের পর এসব অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদপত্র আগামী সপ্তাহ থেকে পরীক্ষার্থীরা হাতে পাবেন বলে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ জানিয়েছেন।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, ২০১৯ সালে যারা জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের হাতে প্রথমবারের মতো চিটাগং এর পরিবর্তে চট্টগ্রাম লেখা অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদপত্র তুলে দেবো আমরা।

এ জন্য প্রেস থেকে নতুন করে ছাপানো অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদপত্র পারসোনালাইজেশনের কাজ চলছে।

নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, শুধু জেএসসি নয়, ২০২০ সালে যারা মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা দিচ্ছে তাদেরকেও প্রথমবারের মতো চিটাগং এর পরিবর্তে চট্টগ্রাম লেখা অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদপত্র দেবো। এ জন্য প্রেস থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদপত্র ছাপানোর অর্ডার দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদপত্রে চিটাগং এর পরিবর্তে চট্টগ্রাম লেখার কাজটি সরকারি আদেশের পরপরই করা যেতো। তবে আমরা চেয়েছি, যেসব শিক্ষার্থীর চিটাগং দিয়ে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তারা যেনো চিটাগং লেখা সনদপত্র হাতে পায়।

‘রেজিস্ট্রেশনে চিটাগং কিন্তু সনদপত্রে চট্টগ্রাম থাকলে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তো। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ঝামেলায় পড়তে হতো। এ কারণে আমরা ২ বছর সময় নিয়েছি। যাদের রেজিস্ট্রেশন চট্টগ্রাম নামে হয়েছে তাদের হাতেই চট্টগ্রাম লেখা অ্যাকাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ও সনদপত্র তুলে দেওয়া হবে। ’

২০১৮ সালের ২ এপ্রিল ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় দেশের অন্য চার জেলার সঙ্গে চট্টগ্রামের ইংরেজি নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়।

সেই সময় চট্টগ্রামের ইংরেজি ‘Chittagong’ এর পরিবর্তে ‘Chattogram’ লেখার সিদ্ধান্তের কথা জানায় প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০
এমআর/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।