ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবছর এবং স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উৎসবের দু’দিন এ দুজন মনীষীর নামে উৎসর্গ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ফুলকি স্কুলের অধ্যক্ষ শীলা মোমেন এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে প্রযুক্তির অপার সম্ভাবনার মধ্যেও মানবিক সংকটের বীজ রয়েছে।
শুধু শিক্ষা নয় শিশুর মানসিক বিকাশে সাংস্কৃতিক চর্চাও করে আসছে ফুলকি। এরই অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের পর দ্বিতীয় বারের মতো সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করতে যাচ্ছে ফুলকি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, উৎসবের শেষের দু’দিন বিদ্যাসাগর এবং বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এছাড়া ৫ জন শিশু সাহিত্যিকের উপস্থিতিতে করা হবে উৎসবের উদ্বোধন।
তিন দিনের এ আয়োজনে থাকছে সঙ্গীত, নৃত্য, পুঁথি পাঠ, জাদু প্রদর্শনী ও ছবি আঁকা। এছাড়াও থাকছে বঙ্গবন্ধু ও বিদ্যাসাগরের জীবন ও কর্মের ওপর চিত্র প্রদর্শনী।
আবুল মোমেন বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবার জন্য বিনামূল্যে শিক্ষার বিষয়টি ঠিক ছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে, মানুষের আয় বেড়েছে। এখন বড় লোকের ছেলে মেয়েরাও যদি বিনামূল্যে বই পায় তাহলে আমাদের যে লক্ষ্য আছে তা কি করে পূরণ হবে?
তিনি আরও বলেন, অভিভাবকরা সন্তানদের টিউশনির পেছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করছেন। এ টাকা দিয়ে মাঠ তৈরি করে দিন। সপ্তাহে দুই দিন মাঠে যেতে পারলেও সন্তানদের মানসিক বিকাশ ঘটবে।
‘তাছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় লাইব্রেরি এবং সায়েন্স ল্যাব করে দেয়া হলে শিশুদের বিকাশ ঘটবে। শুধু গান নাচ করতে পারে এমন কিছু না করে আমাদের উচিত সব শিশু যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে এমন কিছু করা। ’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফুলকি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক ওমর কায়সার, ফুলকির নির্বাহী সচিব মুবিদুর রহমান সুজাত, সহকারী অধ্যক্ষ সৈয়দা খুরশীদা বেগম, রত্না ধর, উপাধ্যক্ষ জিনাত ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এমএম/টিসি