বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে হলটির ১০৪ নম্বর কক্ষ থেকে বহিরাগতদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরে সোহরাওয়ার্দী হলের ১০৪ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফ খান শুভর সঙ্গে কক্ষটিতে অবস্থান করছিলেন তার বন্ধু আসাদ নামে এক বহিরাগত যুবক।
এসময় ওই কক্ষের ভেতরে স্পিকারে গান বাজানো হয়, যাতে করে নির্যাতনের সময় আওয়াজ বাইরে না যায়। এসময় ইয়াছিন আরাফাত নামে আরও একজন বহিরাগত অবস্থান করছিলেন। কক্ষটিতে নির্যাতনের খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ আসে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যান আসাদ।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসানের উপস্থিতিতে কক্ষটিতে থাকা তিন বহিরাগত যুবককে আটক করে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বহিরাগত ইয়াছিন আরাফাত, আয়াজ এবং নাছিমকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ইয়াছিন আরাফাত নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সম্রাট শিকদারের অতিথি।
এ প্রসঙ্গে ১০৪ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী আশরাফ খান শুভ বলেন, 'পারিবারিক সমস্যার কারণে আসাদ কয়েকদিন আমার কক্ষে থাকছে। আমি বিকেলে হল থেকে বের হয়ে যাই। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি আমাকে ডাকার পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমি বিষয়টি জানতাম না। '
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করি। বাকিরা পালিয়ে যাওয়ায় আটক করতে পারিনি। বহিরাগত হওয়ায় তাদের থানায় সোপর্দ করেছি। হলে অবৈধভাবে বসবাসরতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) তোহিদুল করিম বলেন, তিন বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে। তারা কেন বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থান করছিল এ ব্যাপারে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
এমএম/টিসি