গত ১৭ নভেম্বর (রোববার) পাথরঘাটার ব্রিকফিল্ড রোডের বড়ুয়া ভবনে ওই বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত ও ১২জন আহত হন। পরে তড়িঘড়ি করে ওইদিন সকালে তদন্ত কমিটি গঠন করে সন্ধ্যায় প্রতিবেদন দেয় কেজিডিসিএল।
পরে গ্যাস রাইজার পরীক্ষার জন্য শতাধিক প্রকৌশলীর সমন্বয়ে ৩০টি টিম গঠন করা হয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে সব রাইজার পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) পার হতে চললেও এখনও কোনো ভবনে গিয়ে গ্যাস রাইজার পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
কেজিডিসিএল সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে ৫ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫টি আবাসিক সংযোগ রয়েছে। এছাড়া গ্যাস রাইজার রয়েছে এক লাখ ৪৫ হাজার। এরমধ্যে বেশিরভাগ গ্যাস রাইজার ঝুঁকিপূর্ণ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বিভিন্ন সময়ে গ্যাসের লাইনে বিস্ফোরণ ঘটছে। দুর্ঘটনার পর কিছুদিন লোক-দেখানো সচেতনতা কার্যক্রম চালিয়ে দায় সারছেন তারা। কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বড়ুয়া ভবনের মতো যে কোনও সময় আবারও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (প্রকৌশল ও সেবা) মো. সারোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গ্যাসের রাইজার পরীক্ষার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এখনও গ্যাসের রাইজার পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। কারণ পেট্রোবাংলাও একটি কমিটি গঠন করেছে। তাদের কার্যক্রম শুরু করার আগে সব গ্যাস রাইজার পরীক্ষা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
জেইউ/টিসি