ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জলাবদ্ধতা নিয়ে অপরাজনীতি বাঞ্ছনীয় নয়: মেয়র নাছির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
জলাবদ্ধতা নিয়ে অপরাজনীতি বাঞ্ছনীয় নয়: মেয়র নাছির বক্তব্য দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী বরাদ্দ দিয়েছেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্প নিয়েছে। এটি বাস্তবায়নে অনেক সমস্যা রয়েছে। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি, ড্রয়িং ডিজাইন হচ্ছে। আগে পুরো শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল না। যে ড্রেন আছে ৫-১০ মিনিটের বৃষ্টিতে পাহাড়ি বালুতে তা ভরে যায়। চসিক নতুন খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। জলাবদ্ধতা নিয়ে অপরাজনীতি করা বাঞ্ছনীয় নয়।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কক্ষে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের এক দশক শীর্ষক চট্টগ্রাম বিভাগীয় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

 মুখ্য আলোচক ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এমএ লতিফ।

আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রাম এগিয়ে যাওয়া মানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া। বঙ্গবন্ধু কন্যা ধারাবাহিকভাবে দেশ পরিচালনার সুফল জনগণ পেতে শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাকে।  দেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। এটিকে শিল্পনির্ভর করতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী।

মেয়র বলেন, বে টার্মিনাল বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ দূর হয়েছে। এখন বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে যা যা করা দরকার সরকার করছে।  বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেশে যে সাফল্য এসেছে তা প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতার কারণে। এ দেশের মাটি, মানুষের প্রতি উনার দায়বদ্ধতা আছে।

‘নালা, খাল, নদী কারা দখল করছেন? অন্য গ্রহের কেউ তো নয়। নাগরিকদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ’ যোগ করেন মেয়র।

বক্তব্য দেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।  ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, দেশে যে মেগা প্রকল্প হচ্ছে সব প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হচ্ছে। এনার্জি যদি না হতো বাংলাদেশে শিল্পায়ন হতো না। প্রধানমন্ত্রী এই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন, দেশে এলএনজি আসবে। এসেছেও। এর সুফল দেশবাসী পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যা বলেন তা করেন। ১০ বছরে অবকাঠামো, জ্বালানি খাতে অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে। ১০০ বিশেষ ইকোনমিক জোন করা চাট্টিখানি কথা নয়।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বে টার্মিনালের কাজগুলো স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে করতে হবে। এ বন্দরের সক্ষমতা যত বাড়বে ব্যবসাবাণিজ্য বাড়বে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেন করতে হবে। কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস কমাতে ঢাকা চট্টগ্রাম রেলপথে কনটেইনার পরিবহন বাড়াতে হবে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে অন টাইম প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের টুরিজম শিল্পের প্রসারে কানেকটিভিটি বাড়াতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য উপ কমিটির সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছাত্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯ 
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।