রোববার (১০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করার অভিযোগ উঠে ওই ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে।
আহত শুক্কুর আলমকে তার সহপাঠীরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করার পর সেখানেই তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মারধরকারী রিফাত হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। অপরদিকে মারধরের শিকার শুক্কুর আলম দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, আগামীকাল পরীক্ষা থাকায় দোকান থেকে রুটি কিনতে গিয়েছিলেন শুক্কুর আলম। পরে ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের কর্মী রিফাত সেখানে তাকে অকারণে উত্ত্যক্ত করায় শুক্কুর আলম প্রতিবাদ করেন। এসময় তিনি রুটি কিনে সোহরাওয়ার্দী হলের কাছাকাছি আসলে পেছন থেকে এসে তার উপর হামলা করেন রিফাত। এসময় কিল-ঘুষি, লাথির পর শুক্কুরের কিছুদিন আগে অপারেশন করা চোখেও আঘাত করা হয়। সূত্রে জানা যায়, অধিকাংশ সময় নেশাগ্রস্ত থাকেন মারধরকারী রিফাত।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী ছাত্রসমাজের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (ডিসকু) শাখার নেতা-কর্মীরা রাত ৯টায় সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে।
ডিসকুর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, ওই ছাত্রলীগ কর্মীর বিচারের দাবিতে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানানো হবে।
তিনি বলেন, এর আগেও অনেক ঘটনায় আমরা ছাত্রলীগকে ছাড় দিয়েছি। কিন্তু এবার আমরা মারধরকারী রিফাতকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। প্রক্টরিয়াল বডির কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছে। তার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করা হবে। আগামীকাল তাকে আসতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
জেইউ/টিসি