শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগর ও জেলার বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার এসব বাসিন্দাদের নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ২ হাজার ২৬৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১ হাজার ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
‘সম্ভাব্য দুর্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধিদফতরের বরাদ্দকৃত জিআর ক্যাশ, জিআর চাল, ঢেউটিন, শুকনো খাবার এবং তাঁবু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ’
জেলা প্রশাসক বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ডসহ অন্য সব আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
‘ফায়ার সার্ভিসের নিজস্ব লোক ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক, গাড়ি ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অংশ নেওয়া লোকজনের থাকা খাওয়ায় যাতে সমস্যা না হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ’
যে কোনো জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে (ফোন নম্বর: ০৩১-৬১১৫৪৫, ০১৭০০-৭১৬৬৯১) যোগাযোগের অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
এদিকে বুলবুল এর প্রভাবে ভারী বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কায় নগরের বিভিন্ন পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা লোকজনকে সারাতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
নগরের আগ্রাবাদ, কাট্টলী, সদর, বাকলিয়া এবং চান্দগাঁও সার্কেলের কয়েকটি পাহাড়ে পরিচালিত এ অভিযানে সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনারেরা (ভূমি) নেতৃত্ব দেন।
পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ১৯৮টি পরিবারকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে লালখান বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮টি, রৌফাবাদ আদর্শ বিদ্যালয়ে ৭০টি এবং আল হেরা ইসলামীয় মাদ্রাসায় ১০০টি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এমআর/টিসি