ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ মে ২০২৪, ১৪ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাচিক শিল্পী মুনমুনের ‘প্রণতি গ্রহণ করো’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
বাচিক শিল্পী মুনমুনের ‘প্রণতি গ্রহণ করো’ বাচিক শিল্পী মুনমুনের একক পরিবেশনা।

চট্টগ্রাম: দুই ঘণ্টাব্যাপী শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনেছেন আবৃত্তি। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) হোটেল রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে-ভিউ’র মেজবানি হলে বঙ্গবন্ধু বাচিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে দুই বাংলার জনপ্রিয় বাচিক শিল্পী মুনমুনের একক পরিবেশনার এ আয়োজন ছিল বেশ উপভোগ্য।

‘প্রণতি গ্রহণ করো’ শিরোনামে এ আয়োজনের উদ্যোক্তা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা, চট্টগ্রাম মহানগর। বঙ্গবন্ধু বাচিক বিদ্যালয়ের ফলক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকামউল্লাহ।

আবৃত্তিশিল্পী মুমতাহিনা তাবাসসুম মালিহার সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রামস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। আমন্ত্রিত আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সভাপতি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক হাসান জাহাঙ্গীর, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটের সাধারণ সম্পাদক মছরুর হোসেন ও সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, চট্টগ্রামের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ রুদ্র।

বঙ্গবন্ধু মিশু কিশোর মেলার পক্ষে আবৃত্তি করেন মোহাম্মদ আবু আবিদ ও শেখ ফাইরুজ নাওয়াল দুর্দানা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আহকামউল্লাহ বলেন, ৯০ এর স্বৈরাচার আন্দোলনের ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের জন্ম ১৩টি সংগঠন নিয়ে। আবৃত্তি শিল্পের বিকাশের সেই সময়কালে ১৩টি সংগঠনের মধ্যে চট্টগ্রামের সংগঠন ছিল ৬টি। আজ ২০১৯ সালে সারাদেশে সাড়ে তিনশ এরও বেশি আবৃত্তি সংগঠন। আশা রাখি, বঙ্গবন্ধু বাচিক বিদ্যালয় থেকে নতুন প্রজন্ম আবৃত্তি শিল্পকে ভালোবেসে একে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, আমি চট্টগ্রামে যোগদানের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়েছি। আবৃত্তির উর্বর ভূমি চট্টগ্রাম। আমার ভালো লাগছে ভারত থেকে মুনমুনের মতো এমন একজন আবৃত্তি শিল্পী এসেছেন যিনি দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয়।

মুনমুন মুখার্জী আবৃত্তির মধ্য দিয়ে জানালেন ‘প্রণতি গ্রহণ করো’। এই নিয়ে চতুর্থবার তাঁর বাংলাদেশে আগমন। কবিতায় জানান দিলেন, দুই বাংলার সম্প্রীতির কথা, কাঁটাতারের বেড়া উপলক্ষ মাত্র। বললেন, ‘ভাগ মানি না, দাগ মানি না, বাংলা আমার এক’। পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতায় শোনালেন পাহাড় ও মেঘের প্রেমের করুণ কাহিনী। শোনালেন কাজী নজরুলের বাসন্তী কবিতা। জানালেন ইউটিউবে তাঁর প্রথম রেকর্ড করা কবিতা চট্টগ্রামের কবি সৌমেনের। হত্যার শিকার নুসরাতকে নিবেদিত কবিতা আবৃত্তি করেন ‘সেই মেয়েটা’। ‘মানুষ মরে একবারই, সে রোজ মরে, এ মেয়েটার মেয়ে হওয়াই ভুল ছিল’। শেষে বলেন, জীবদ্দশায় দেখে যেতে চাই, এমন একদিন আসবে, যেদিন এ কবিতাটি আর পড়তে হবে না আমাকে।

শ্রোতাদের অনুরোধে তিনি আবৃত্তি করেন, ‘এমন ভেঙেচুড়ে ভালোবাসেনি কেউ আমাকে’, বীরভূমের আঞ্চলিক কবিতা, ‘রবিঠাকুর পেনামহই’, ‘মেঘ বললো’, ‘নীরু বালা’, ‘বছর চারেক পর’ সহ অনেক কবিতা।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।