ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত ২৬৭ পরিবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
চট্টগ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত ২৬৭ পরিবার বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।  

চট্টগ্রাম: ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চট্টগ্রামের ৫ উপজেলার ২৭৬টি পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার ১৪ উপজেলায় পুনর্বাসিত হলো ৪ হাজার ৪৪৮টি পরিবার।  

বুধবার (১২ জুন) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, কর্মশালার সমন্বয়ক মো. মাহবুব হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংশ নেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকল্প পরিচালক (আশ্রয়ণ-২) মো. মাহবুব হোসেন প্রধান উপস্থাপক ও কর্মশালার সমন্বয়ক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

মো. মাহবুব হোসেন কর্মশালায় জানান, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ হলেও বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য সরকারের আন্তরিকতার অভাব নেই।

গৃহহীন মানুষের কষ্টের বিষয়টি অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১৯৯৭ সাল থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সরকার গৃহহীন মানুষদের জন্য সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে।

‘একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না’-প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকারের আলোকে দেশের সব গৃহহীন মানুষকে বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে জানান প্রকল্প পরিচালক।

তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত ঘরে বরাদ্দ প্রাপকের থাকা নিশ্চিত করতে হবে। উপকারভোগীর জীবিকার জন্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের স্থান নির্ধারণ করতে হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের ঘোষিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’-অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শহরের সুবিধা গ্রামে পৌঁছাতে হবে। সবাই শহরমুখী হলে এ দেশের উন্নয়ন হবে না।

তিনি বলেন, শহরমুখী জনস্রোত মোকাবেলায় গ্রামেই জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করতে হবে, কৃষিকে বাঁচাতে হবে। গ্রামে থেকে কাজ করে নিজেদের এলাকার চিত্র পাল্টাতে হবে।

প্রকল্প এলাকায় ফলদ ও ওষুধি গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

শহর বা পাহাড়ি এলাকায় খাসজমির স্বল্পতা উল্লেখ করা হলে প্রকল্প পরিচালক জানান এসব এলাকায় ৫তলা দালান করা হবে। এ জন্য ৫০টি দালান নির্মাণের অনুমোদন পাওয়া গেছে। জরাজীর্ণ ঘরগুলো অচিরেই সংস্কার করা হবে। আর্থিক অবস্থার উন্নতির কারণে প্রকল্প এলাকা ছেড়ে যাওয়া উপকারভোগীর ঘর নতুন করে বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে ঋণ গ্রহীতাকে আয়বর্ধক কাজে বিনিয়োগের জন্য উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।