ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
ফলের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ সব রকমের ফলের দাম বেড়েছে। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: রমজানে ফলের বাড়তি চাহিদা থাকায় দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে ক্রেতার পাশাপাশি খুচরা ব্যবসায়ীরাও আছেন বেকায়দায়। নগরে ফলের পাইকারি আড়ত বিআরটিসি ফলমন্ডিতে প্রতিদিনই মৌসুমি ফলের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

কাজীর দেউড়ী ফল মার্কেটে রোববার (১৯ মে)  গোবিন্দভোগ আম কেজি ১শ’ টাকা, স্থানীয় লিচু ১শ’টি ৩৭০ টাকা, মাল্টা প্রতিকেজি ১৮০ টাকা, আনার ২২০ টাকা, আপেল ২শ’ টাকা, পিয়ার্স ২৬০ টাকা, পেঁপে (কেজি) ১২০ টাকা, বাংলা কলা প্রতি ডজন ১২০ টাকা, সাগর কলা প্রতি ডজন ৮০ টাকা, লালচে আঙ্গুর কেজি ৪শ’ টাকা, সাদা (হালকা সবুজ) আঙ্গুর ২শ’ টাকা, কালো তরমুজ ১২০ টাকা, মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ৮শ’ টাকা, তিউনিসিয়া জাতের প্রতি কেজি খেজুর ৫০০ টাকা, সুপ্রি-ডেসটিনি ও ফরিদা খেজুর ৩শ’ টাকা, সায়ার ২শ’ টাকা, জাহেদি ২৫০ টাকা ও সামের জাতের খেজুর ২শ’ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বেড়েছে আনারস, পেয়ারা, বেল, ডাব, নাশপাতির দামও।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত ফলের দাম পাইকারি বাজারে বাড়লে খুচরা বাজারেও তার প্রভাব পড়ে বলে জানান ফল ব্যবসায়ী আশীষ দাশ।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কার্টন (১৪ কেজি) মাল্টা কিনেছি ২৪শ’ টাকায়।

এখন কিনতে হচ্ছে ২৬শ’ টাকায়। প্রতি কার্টন ২৫শ’ টাকায় কেনা নাশপাতি কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। আড়তদাররা কারসাজি করে প্রতিদিন দাম বাড়াচ্ছে।

ফলমন্ডির ব্যবসায়ীরা জানান, আড়তে ১৮ কেজির প্রতি কার্টন আপেল ৩ হাজার থেকে ৩২শ’ টাকা, মাল্টা ১৫ কেজির প্রতি কার্টন কার্টন ১৮শ’ থেকে ১৯শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। এখন দাম একটু বেড়েছে।

সব রকমের ফলের দাম বেড়েছে।  ছবি: বাংলানিউজফল আমদানিকারকরা জানান, চীন-দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফলবাহী কনটেইনারগুলো জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর ৯২ শতাংশ শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়। এরপর এসব ফল সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক লাখ ১৭ হাজার ১৭০ টন কমলা ও মাল্টা আমদানি হয়েছে, যার বাজারমূল্য এক হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ৩৫৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। ওই অর্থবছরে দুই লাখ ৪৮ হাজার ৪০৩ টন আপেল আমদানি হয়েছে, যার বাজারমূল্য ৩ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ আলমগীর জানান, লোকসান হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ফল আমদানি করছেন না। এতে বাজারে জোগান কমে গেছে। বিপরীতে রমজানে ফলের চাহিদা বেড়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবে দামও বাড়তি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।