ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পুরো শহরকে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে: সিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
পুরো শহরকে সিসিটিভির আওতায় আনা হবে: সিএমপি কমিশনার সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

চট্টগ্রাম: পুরো চট্টগ্রাম শহরকে আগামি এক মাসের মধ্যে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নগরের আগ্রবাদ ওয়ার্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।

ডবলমুরিং থানা এলাকায় স্থাপিত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা নেটওয়ার্ক কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘শহরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে সিসিটিভি ক্যামেরা। নগরবাসীর নিরাপত্তায় ও তাদের সহায়তায় পুরো শহরকে এক মাসের মধ্যে সিসিটিভি’র আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি শুভ কাজের সূচনা করলাম। সিএমপি’র স্বপ্ন, আগামী রমজানের মধ্যে ঈদের আগে সারা শহর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতার মধ্যে নিয়ে আসবো। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা জানি বিছিন্ন ভাবে পাড়া, মহল্লা ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেক স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। আমরা চাচ্ছি এই সিসি ক্যামেরাগুলো একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিটি থানার সাথে সংযুক্ত করতে। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক সহ প্রায় অর্ধেকেরও বেশি শহর সিসিটিভি ক্যামেরার আওতা আনা হয়েছে। যারা এই কাজে সহযোগিতা করছেন তারা নিজের পরিবার, পরিবেশ, এবং সমাজকে সুরক্ষিত করছেন। ’

মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, যে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সেই অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের দরকার নিরাপদ শহর।  বাংলাদেশে আমরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী যেভাবে দ্রুত জঙ্গিবাদের লাগাম টেনে ধরতে সক্ষম হয়েছি সারা বিশ্বের কাছে আমরা বিস্ময়।  উন্নয়নের ক্ষেত্রে যেমন বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময় তেমনি জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও সারা বিশ্বের কাছে বিস্ময়। আমাদের অনেক সদস্য জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। তাদের এই আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশকে একটি জঙ্গি মুক্তি দেশ উপহার দিতে পেরেছি। ’

‘মাদক মানুষকে সুস্থ্য রাখতে পারে না। মাদকাসক্ত লোক দেশের উপকারে আসে না। তাই মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তথ্য দিতে হবে। ’ যোগ করেন সিএমপি কমিশনার।

ট্রাফিক সিস্টেমও আসবে সিসিটিভির আওতায়

সিএমপি’র ট্রাফিক সিস্টেমও সিসিটিভির আওতায় আনা হবে বলে জানান অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।

তিনি বলেন, সিএমপির সিসিটিভিগুলোকে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। কেউ ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে তার নামে মামলা হবে।

বাসার ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশের কাছে সরবরাহ করার জন্য বাড়ির মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান আমেনা বেগম।

সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় ও উপ-কমিশনার (পশ্চিম) ফারুক উল হকের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির আহ্বায়ক ও দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এমএ মালেক, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন।

এ সময় সিএমপির উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) হারুনুর রশিদ হাযারী, উপ-কমিশনার (বন্দর) হামিদুল হক, উপ-কমিশনার (পিওএম) তারিক আহমেদ, ডবলমুরিং জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান, ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ডবলমুরিং থানার কয়েকটি স্পটে মোট ২৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫, এপ্রিল ২৫, ২০১৯
এসকে/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।