ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া যাবে না: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া যাবে না: তথ্যমন্ত্রী ...

চট্টগ্রাম: নেতাকর্মীদের সাধারণ মানুষের প্রতি বিনয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দায়িত্বে আছি বলেই মানুষ সমালোচনা করছে। এখন তারা বুঝে গেছে, আওয়ামী লীগ মানে উন্নয়ন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল ইসলাম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ছাদেকুন নূর সিকদার, লোকমানুল হক, জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ, জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রাণ।

তৃণমূল নেতাদের ত্যাগের কারণেই আওয়ামী লীগ পর পর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। কারও আচরণ কিংবা অন্য যেকোনো ভাবে মানুষ কষ্ট পায় এমন কাজ থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরত থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত দশ বছরে দেশকে বদলে দিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের জীবন যাত্রা উন্নত হয়েছে। সমৃদ্ধ হয়েছে দেশের প্রতিটি জনপদ। সাধারণ মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে আওয়ামীলীগ মানে উন্নয়ন। তাই সাধারণ মানুষ আওয়ামীলীগের সাথে রয়েছে। মানুষের ভালবাসা নিয়ে দল তৃতীয়বারের মতো এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায়।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মানুষের উপকারে কাজ করার আহবান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দায়িত্বে থাকলে মানুষের সমালোচনা শুনতে হবে। ধৈর্য্যের সাথে কাজ করতে হবে।

আগামী জুলাই মাসের ২য় সপ্তাহে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন গুলোর জন্য স্থায়ী ভাবে কার্যালয় নির্মাণ করা হবে। সেজন্য তৃণমূল নেতাদের উদ্যোগ নিতে হবে।

আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, উত্তরজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খায়রুল বশর মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম, মাস্টার আসলাম খাঁন, ডা. মো. সেলিম, আকতার হোসেন খাঁন, মুজিবুল ইসলাম সরফী, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার বাদশা, নিজাম উদ্দিন বাদশা, জসিম উদ্দিন তালুকদার, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, কেন্দ্রিয় যুবলীগ সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, জাহেদুর রহমান তালুকদার, রহিম উদ্দিন চৌধুরী, মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন, মো. সেলিম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, সম্পাদক মো. ইউনুছ, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন রিয়াজ, তাঁতীলীগ আহবায়ক মোরশেদ তালুকদার, ছাত্রলীগ সভাপতি নুরুল আলম, যুব মহিলালীগ আহবায়ক রাহিলা চৌধুরী রেখা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৯

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।