এবারের প্রণোদনায় থাকছে আউশ বীজতলা তৈরিতে কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া এবং প্রান্তিক কৃষককে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, চলতি বোরো মৌসুমে ৬৩ হাজার ৩২৪ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার দুই লাখ ৫৬ হাজার ৪৮২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আমিনুল হক চৌধুরী।
তিনি জানান, আউশ বৃষ্টি নির্ভর ধান জাত। মে-জুনের বৃষ্টিকে অবলম্বন করে আউশের বীজ সরাসরি মাঠে বুনে দেওয়া হয়। তারপর চৈত্র-বৈশাখে বুনে আষাঢ়-শ্রাবণে কাটা যায়। চলতি বোরো মৌসুমে আবাদে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারায় এ মৌসুমে পুষিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এ লক্ষে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করা হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, কয়েকটি উপজেলায় খাল খনন করা ও হালদা নদীতে বেড়ি বাঁধ দেওয়ার কারণে চাহিদানুযায়ী পানি পাননি কৃষকরা। এরফলে বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। আউশ মৌসুমের পানির উৎস বৃষ্টির পানি। কারণ এসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এ পানিকে কাজে লাগিয়ে কৃষকরা চাষাবাদ করবেন। এছাড়া বোরো মৌসুমের সেচের মাধ্যমে চাষাবাদ করার কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। কিন্তু এ মৌসুমে ওই ব্যয় বাড়ে না। তাই কৃষকরা এ মৌসুমে নিজ আগ্রহে চাষাবাদ করেন। ফলে উৎপাদনও বেড়ে যায়।
আমিনুল হক বলেন, একসময় আউশ ব্যাপকভাবে চাষ করা হলেও গত কয়েক বছর ধরে এ চাষ কমে যাচ্ছে। তাই এ মৌসুমে আবাদ বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ হিসেবে ১৩ হাজার কৃষককে আর্থিক সহায়তা ও কৃষি উপকরণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
জেইউ/টিসি