প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে বন্দরনগরীতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। চট্টগ্রাম সিটি করপোশেনের (চসিক) উদ্যোগে পুরো নগরীকে পরিপাটি করে তোলা হয়েছে; সাজানো হয়েছে ভিন্ন আমেজে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ছোট বড় গর্তগুলো সংস্কার করে নতুন করে কার্পেটিং করা হয়েছে; রঙ লাগানো হয়েছে জেব্রাক্রসিং, আইল্যান্ডসহ সড়কের পাশে থাকা গাছগুলোতেও। নগরীর বিভিন্ন মোড়ের ভাস্কর্যগুলো ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে নতুন রঙে রাঙানো হয়েছে।
আর এসব কাজ তদারকি করছেন স্বয়ং সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। যোগাযোগ করা হলে সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে নগরীর বিভিন্ন সড়কের সংস্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন মোড়ের স্থাপনা ও ভাস্কর্যও রঙ দেয়া ও য়া-মুছা হচ্ছে। এসব কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রায় ৫০০ কর্মী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার চট্টগ্রাম সফরে সকালে কর্ণফুলীর টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খনন কার্যক্রম ও লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকায় ৩ হাজার ৫ মিটার দীর্ঘ এ টানেল নির্মিত হচ্ছে। টানেলটি নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে কাফকো ও সিইউএফএল পয়েন্টের মাঝখান দিয়ে অপর প্রান্তে যাবে।
নদীর তলদেশে সর্বনিম্ন ৩৬ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১০৮ ফুট গভীরে স্থাপন করা হবে দুটি টিউব। ২০২২ সালের মধ্যে এ টানেলটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা।
এছাড়া প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চার লেনের ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর পতেঙ্গায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ সফর উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও নানা কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও।
টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার এটাই চট্টগ্রাম সফর।
বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
টিসি/