ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ কারাবন্দির সহায়তায় চিটাগাং চেম্বার

চট্টগ্রাম প্রতিদিন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ কারাবন্দির সহায়তায় চিটাগাং চেম্বার কারা কর্তৃপক্ষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৩০টি সিলিং ফ্যান দিয়েছে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি।

চট্টগ্রাম: তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ। প্র্রচণ্ড গরমে কয়েদিরা যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে তা লাঘবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ৩০টি সিলিং ফ্যান দিয়েছে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কারা কর্তৃপক্ষের নিকট এসব ফ্যান হস্তান্তর করেন।

কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. সোহেল রানা বিশ্বাসের সভাপতিত্ব ও ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ আবদুস সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, চেম্বার পরিচালকদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, ছৈয়দ ছগীর আহমদ ও সেক্রেটারি ইনচার্জ প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুবুল আলম বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির সঙ্গে কারাগারগুলোতেও কয়েদির সংখ্যা আনুপাতিকহারে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে দেশের বিদ্যমান কারাগারে সেই তুলনায় পরিধি বা সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হয় না।

কারাগার মূলত একজন অপরাধীর মানসিক বিকাশ ও চারিত্রিক সংশোধনের উৎস হিসেবে কাজ করে। কিন্তু উপযুক্ত পরিবেশ, পর্যাপ্ত সুবিধা ও সুব্যবস্থার অভাব একজন কয়েদির মাঝে নেতিবাচক প্রভাবের বিস্তার ঘটায়। তাই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের আহবানে সাড়া দিয়ে প্রচণ্ড গরমে কয়েদিদের দুর্ভোগ লাঘবে মানবিক কারণে চিটাগাং চেম্বার এগিয়ে এসেছে। কয়েদিদেরকে কর্মমূখী করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন ধরণের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হলে পরবর্তীতে তাদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা রোধ করতে তা কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে চেম্বার সভাপতি মন্তব্য করেন এবং কারা কর্তৃপক্ষ আগ্রহী হলে এক্ষেত্রে চিটাগাং চেম্বারের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

মো. সোহেল রানা বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি কয়েদি রয়েছে। তাই কয়েদিদের প্রয়োজনীয় সু-ব্যবস্থা প্রদানে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয়। এই সীমাবদ্ধতার মাঝেও কারা কর্তৃপক্ষ কয়েদিদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি কয়েদিদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং নৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ পরিচালনা করছে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে ডেপুটি জেলার মঞ্জুরুল ইসলাম, মো. মনির হোসাইন, মো. ফখর উদ্দিন, মো. আতিকুর রহমান, মো. হুমায়ুন কবির হাওলাদার, বেসরকারি কারা-পরিদর্শকবৃন্দ এম এ হান্নান, শেখ ফোরকানুল হক চৌধুরী, আজিজুর রহমান, আবদুল হান্নান লিটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।