ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা যা বললেন

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা যা বললেন সীতাকুণ্ডের সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন। ছবি: সোহেল সরওয়ার

সীতাকুণ্ড থেকে: যোগ্য নেতৃত্ব এবং সরকারি সহায়তা পেলে সীতাকুণ্ডে ভারী ও পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে ওঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের প্রাধান্য দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সীতাকুণ্ড উপজেলার বহুমাত্রিক সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে বাংলানিউজ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় জনপ্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।

বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

সীতাকুণ্ডের সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।  ছবি: সোহেল সরওয়ারপৌর প্যানেল মেয়র জুলফিকার আলী শামীম বলেন, এক সময় সীতাকুণ্ডে ব্যাপক চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটলেও কয়েক বছর ধরে তা কমে এসেছে।

এখন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি নেই বললেই চলে। সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের আন্তরিকতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী জাহাঙ্গীর বলেন, বাঁশবাড়িয়ায় ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সড়ক সংস্কার, কর্মসংস্থানের জন্য ভ্যানগাড়ি ও সেলাই মেশিন বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের এরূপ উন্নয়নযজ্ঞ চলমান থাকলে পাল্টে যাবে সীতাকুণ্ডের চিত্র।

তিনি বলেন, এখানে ভারী শিল্প ও হালকা শিল্প- দুটিই রয়েছে। এ শিল্প দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। যেহেতু শিল্পগ্রুপগুলোকে কারখানা স্থাপনের জন্য স্থানীয়রা নিজ ইচ্ছায় জায়গা দিচ্ছেন তাই এসব কারখানায় স্থানীয়দের চাকরির সুযোগ দিতে হবে।

কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরশেদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের এলাকায় বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। কিন্তু তাদের উন্নত অবকাঠামো দিতে সমস্যাও হচ্ছে। এজন্য উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা সবাই এক। সীতাকুণ্ডে গড়ে ওঠা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সম্পন্ন স্থানীয়দের চাকরি নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

মুরাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন নিজামী বলেন, আমার ইউনিয়নটি কৃষি নির্ভর হলেও চেষ্টা করছি এটিকে আধুনিক করতে। শিক্ষার হার বাড়াতে। এজন্য স্কুলগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করছি।

তিনি বলেন, মুরাদপুরে তৃতীয় বন্দর তৈরি নিয়ে সরকার কাজ করছে। বন্দরটি তৈরি হলে অর্থনৈতিকভাবে এ এলাকার গুরুত্ব বহুগুণে বাড়বে। বন্দর তৈরি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মতো যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন।

বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দীন বলেন, ২০১৩-১৪ সালের নরককুণ্ড থেকে সীতাকুণ্ড এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা সীতাকুণ্ড আসছেন। তবে পর্যটন এলাকাগুলোকে সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে আরও উন্নত করা গেলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

ভাটিয়ারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে দেশ। সীতাকুণ্ডও এর ব্যতিক্রম নয়।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করি প্রশাসনকে রাজনৈতিক চাপমুক্ত রাখতে। এরপরেও আমাদের কিছু ভুল ত্রুটি রয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরাই আমাদের ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দিচ্ছেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই।

দেশের সর্ববৃহৎ ২৪ ঘণ্টার অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের টিম রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘সম্ভাবনা ও উন্নয়ন’ নিয়ে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির পর এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা করে।

এতে সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলমসহ জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।