ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর’

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
‘সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর’ বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকান্দর হোসেন। ছবি: উজ্জল ধর

সীতাকুণ্ড থেকে: ‘জাহাজভাঙা শিল্প, পর্যটন, শিল্পাঞ্চলসহ নানা ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা রয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলায়। বর্তমানে এসব খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সীতাকুণ্ড হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর।’

সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সীতাকুণ্ড উপজেলার বহুমাত্রিক সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে বাংলানিউজ আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকান্দর হোসেন এসব কথা বলেন।

বাংলানিউজের চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সেকান্দর হোসেন বলেন, ১০ বছর আগের সীতাকুণ্ড আর বর্তমান সীতাকুণ্ডের মধ্যে অনেক ব্যবধান। গত ৫ বছরে সীতাকুণ্ডে শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, রাস্তা-ঘাট, কৃষিক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।

বর্তমান সরকার সীতাকুণ্ডের প্রত্যাশা পূরণে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছেন এবং উদ্যোগ নিয়েছেন। তবে পর্যটন খাতে সীতাকুণ্ডে যে অপার সম্ভাবনা রয়েছে, সেটিকে আমরা যথাযতভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। এ খাতে যদি সীতাকুণ্ডে আরও প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়, তাহলে পর্যটকেরা সীতাকুণ্ডকে বেচে নেবেন। বক্তব্য দেন  সীতাকুণ্ড মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বক্কর ।  ছবি: উজ্জল ধরসীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দিরকে এখনো জাতীয় তীর্থ ঘোষণা করা হয়নি। অচিরেই এটি জাতীয় তীর্থ ঘোষণার দাবি জানান তিনি।

মো. সেকান্দর হোসেন বলেন, সীতাকুণ্ড শুধু একটি উপশহর নয়, এটি এখন শিল্পনগর ও শিল্পজোন। শিপ ইয়ার্ড সীতাকুণ্ডকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। সাগরপাড়ের সীতাকুণ্ড অংশে যদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাহলে সীতাকুণ্ডের চেহারা পাল্টে যাবে। পরিকল্পনা ও  যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। মহাসড়কের পাশাপাশি প্রয়োজন বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা। তাহলে সীতাকুণ্ড এগিয়ে যাবে আরও একধাপ।

এক্ষেত্রে সীতাকুণ্ডের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যুগোপযোগী পরিকল্পনা নেওয়ারও দাবি জানান এ সাংবাদিক নেতা।    

সীতাকুণ্ড মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বক্কর বলেন, সরকার বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছে। এ সরকারের আমলে সীতাকুণ্ডে এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। এ সরকারের আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে উন্নয়ন হয়েছে, আগে তা হয়নি। সরকারের প্রতিনিধি হয়ে সীতাকুণ্ডের বর্তমান সংসদ সদস্য শিক্ষকদের খোঁজ-খবর নেন। এমনকি তাহের-মঞ্জু কলেজ স্থাপন করে উত্তর সীতাকুণ্ডের ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ করে দিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে, সেগুলোর মান অক্ষুন্ন রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন সংসদ সদস্য।

সাগরপাড়ে আরেকটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হলে সীতাকুণ্ডের জন্য ভাল হবে বলেও মত প্রকাশ িকরেন তিনি।

সীতাকুণ্ডের সার্বিক সমস্যা, সংকট, সম্ভাবনা ও উন্নয়ন নিয়ে আয়োজিত গোলটেবিলে উপস্থিত আছেন সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রাণী সাহা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারিকুল আলম, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. কামরুজ্জামান, সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্যানেল মেয়র জুলফিকার আলী শামীম, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাব সভাপতি সেকান্দার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র চক্রবর্তী, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দায়িত্বশীলরা।

রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) ‘সম্ভাবনা ও উন্নয়ন’ নিয়ে বাংলানিউজ টিম সীতাকুণ্ডে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির পর এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হচ্ছে।

পুরো অনুষ্ঠানটি লাইভ দেখানো হচ্ছে বাংলানিউজের ফেসবুক পেজে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।