শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।
নগরের সিইপিজেড চত্বরে সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক এএসএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা মহিউদ্দিন।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, সকল প্রকার সাক্ষ্য প্রমাণ, ডক্যুমেন্টারি এভিডেন্সে পরিস্কারভাবে প্রমাণ হয়েছে যে, তারেক জিয়ার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। সেই হামলার মূল লক্ষ্য জাতিরজনকের কন্যা শেখ হাসিনাসহ জাতীয় নেতাদের হত্যা করে দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারাকে ধ্বংস করে দেওয়ার।
তিনি আরও বলেন, দেশবাসী আপনাদের আজ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়। জাতিসত্তার খুনীদের উত্তরাধিকার তারেক জিয়া ও মুফতি হান্নান চক্রকে কি এগিয়ে যেতে দেবেন শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দিয়ে? নাকি তাদের থামিয়ে দেবেন, অতীতের খলনায়কদের মতো লজ্জা আর পরাজয়ের পাথর বেঁধে অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করে। আসুন আমরা বিভেদের হিংস্র শ্বাপদ আর হায়েনাদের পরাজয়ের সমাধিতে দাঁড়িয়ে সমবেত কণ্ঠে বলি ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। শত্রুর বিরুদ্ধে গড়ে তুলি ইস্পাত কঠিন ঐক্যের প্রাচীর।
জাগ্রত ছাত্র যুব জনতার সদস্য সচিব রকিবুল আলম সাজ্জীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, জামশেদুল আলম চৌধুরী, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক হাজী হারুনুর রশীদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু তাহের, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. ইলিয়াছ, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জহির আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ইবনে সালাউদ্দিন, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হাসান মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. হাসান, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইসকান্দর মিয়া, যুগ্ম-আহবায়ক মোর্শেদ আলী, নূর নবী চৌধুরী লিটন, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চৌধুরী আজাদ, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিন, নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলি, নগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল হক সুমন, মহানগর সৈনিক লীগের আহবায়ক শফিউল আজম বাহার, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মমতাজ বেগ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শওকত হোসাইন, ফরহান আহমেদ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, খলিলুর রহমান নাহিদ, মোরশেদ আলম, এস এম আবু তাহের, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য সাইফুল্লাহ আনসারী, নগর যুবলীগ সদস্য আব্দুল আজিম, শামসুল আলম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য নুরুল কবির, মাইনুল হক লিমন, আবদুস সালাম মাসুম, মহিলা কাউন্সিলর নিলু নাগ, আনিসুর রহমান ইমন, হাজী হাবিব শরীফ, এনামুল হক মিলন, জাহেদ আহমেদ চৌধুরী, আজিজুর রহমান আজিজ, সমীর মহাজন লিটন, স্বরূপ দত্ত রাজু, রাজিব হাসান রাজন, আশিকুন্নবী চৌধুরী, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু প্রমুখ।
সমাবেশ স্থলের পাশে অভিযুক্ত আসামিদের ফাঁসির দাবিতে প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
এসবি/টিসি