বেলা পৌনে তিনটা। সিলভার স্ক্রিনের প্লাটিনাম হল ভর্তি দর্শক।
বিকেল পাঁচটা। ‘মিশন ইম্পসিবল ফল আউট’ সিনেমা উপভোগ শেষে হল ভর্তি দর্শক সিলভার স্ক্রিন থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এর আগেই আরেক দল সিনেমাপ্রেমী সিলভার স্ক্রিনের সামনে হাজির হলেন সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হওয়া বাংলা সিনেমা ‘পোড়ামন টু’ দেখতে। ’
শুক্রবার সারাদিন চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের একমাত্র সিনেপ্লেক্স সিলভার স্ক্রিনের চিত্র ছিল এমনই। যেখানে সিনেমা দেখতে ভিড় করেন নানা শ্রেণি-পেশার সিনেমাপ্রেমী মানুষ।
এ দিন সিলভার স্ক্রিনের প্লাটিনাম হলে ৩টি শো চলে। এর মধ্যে পৌনে তিনটায় ইংলিশ সিনেমা ‘মিশন ইম্পসিবল ফল আউট’, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাংলা সিনেমা ‘পোড়ামন টু’ এবং রাত আটটা ১৫ থেকে হরর ইংলিশ মুভি ‘দ্যা নান’ শুরু হয়। ৭২ আসনের প্লাটিনাম হলে ৩টি শো দেখতেই ভিড় করেন সিনেমাপ্রেমীরা।
সিলভার স্ক্রিনের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, একটি আন্তর্জাতিক মানের সিনেপ্লেক্সে যা যা থাকা প্রয়োজন সব কিছু স্বল্প পরিসরে সিলভার স্ক্রিনে রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। যা চট্টগ্রামে প্রথম ও একমাত্র। এ কারণে সিনেমাপ্রেমীরা সিলভার স্ক্রিনে এসে সিনেমা দেখা উপভোগ করছেন।
তিনি বলেন, সাধারণত সকাল, দুপুর, বিকেল ও রাতে ৪টি শো চলে সিলভার স্ক্রিনে। এসব শো দেখতে সপ্তাহের অন্যান্য দিন বিনোদনপ্রেমী মানুষের ভিড় থাকলেও ছুটির দিনগুলোতে বাড়তি ভিড় হয়। অনেকে টিকিট না পেয়ে মন খারাপ করে চলে যায়।
স্ত্রী-সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে সিলভার স্ক্রিনে ‘পোড়ামন টু’ সিনেমা দেখতে এসেছিলেন স্কুলশিক্ষক হেলাল উদ্দিন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শেষ কবে হলে গিয়ে সিনেমা উপভোগ করেছি মনেই নেই এখন। নগরের সিনেমা হলগুলোর যে বেহাল অবস্থা তাতে বড় পর্দায় সিনেমা উপভোগ করার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম।
তিনি বলেন, বহুদিন পর হলে বসে সিনেমা উপভোগ করেছি। নিজের শহরের মধ্যে এরকম অত্যাধুনিক সুবিধার আন্তর্জাতিক মানের একটি হলে সিনেমা উপভোগ করে ভালোই লেগেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এমআর/টিসি