সকাল ৭টার পরপরই জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে আসতে শুরু করেন নেতারা।
সকাল পৌনে ৮টায় অনুষ্ঠিত প্রথম জামাতে নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মো. নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ।
সকাল পৌনে ৯টায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জামাতে নামাজ আদায় করেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমান।
নামাজ শেষে প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই। আমরা চাই দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক। সামনে নির্বাচন। সরকারের বাইরে সমস্ত রাজনৈতিক ব্যক্তি-শক্তি সবাই চায় যাতে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে। জনগণ যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য দেশে নির্বাচনকালীন সরকার চাই। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে শান্তি বজায় থাকবে।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ সার্বজনীন। ঈদকে রাজনৈতিকভাবে দেখার সুযোগ নেই। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে আগামি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এটিই আমাদের সবার লক্ষ্য।
এদিকে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে ঈদুল আজহার জামাতকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঈদ জামাতে প্রবেশের তিনটি পথে বসানো হয় আর্চওয়ে গেইট।
সাদা পোশাকে দায়িত্বে ছিলেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে পুলিশের সতর্ক অবস্থান ছিল। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মুসল্লিদের তল্লাশি করে জামাতস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৮
এসকে/টিসি