মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরের বিবিরহাট গরুর বাজার, কর্ণফুলী গরুর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে কোরবানির পশু কেনাবেচার এ চিত্র দেখা গেছে।
ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে বিক্রি তেমন ভালো না হলেও সোমবার (২০ আগস্ট) থেকে গরু বিক্রি বাড়তে থাকে।
কুষ্টিয়া থেকে বিবিরহাট গরুর বাজারে আসা ব্যাপারী মুরশিদ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ৩৭টি গরু নিয়ে এখানে আসি।
নগরের খুলশী এলাকা থেকে বিবিরহাট গরুর বাজারে কোরবানির গরু কিনতে এসেছেন ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাসায় গরু রাখতে সমস্যা। তাই ঈদের আগের দিনেই গরু কিনতে এসেছি। মাঝারি গরুর চাহিদা একটু বেশি থাকায় ব্যাপারীরা বাড়তি দাম দাবি করছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাশিত দামেই পছন্দের গরু কিনতে পেরেছি।
ব্যাংক কর্মকর্তা নঈম উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অফিসের কাজের চাপে গরুর বাজারে আসার সময় পাইনি। তাই শেষ দিনেই এসেছি। দাম একটু বেশি হলেও পছন্দের গরুটিই নিয়েছি।
এদিকে শুধু গরু নয়, ছাগলের বাজারেও ছিলো জমজমাট বিকিকিনি। তবে ছাগল কিনতে আসা অনেককেই দেখা গেছে কোরবানে উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্যই ছাগল কিনতে এসেছেন তারা।
সদ্য বিয়ে দেওয়া মেয়েকে কোরবানে উপহার হিসেবে দিতে ছাগল কিনতে আসা জগলুল হূদা বাংলানিউজকে বলেন, মেয়র বিয়ে হয়েছে ৪ মাস হলো। স্বামীর বাড়িতে তার প্রথম ঈদ। তাই রীতি অনুসারে তার জন্য ছাগল কিনতে এসেছি।
বিবিরহাট বাজারের ইজারাদার সংশ্লিষ্ট একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, মাঠ ছোট হওয়ায় অনেক ব্যাপারী সড়কে দাঁড়িয়ে গরু বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে ভালো বেচাকেনা হচ্ছে এখানে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এমআর/টিসি