মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলার ১৩ বছর উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, জাতি যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর আত্ম স্বীকৃত খুনীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে দেখেছে।
তিনি আরও বলেন, আজ দিবালোকের মত সত্য দূর্নীতি মামলায় দণ্ডিত ও পলাতক আসামি তারেক রহমানই ষড়যন্ত্র ও লুণ্ঠনের আস্তান হাওয়া ভবনে বসে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছিলেন।
সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিবার বাঙালি জাতিসত্তার পবিত্র আমানত। আমাদের জীবন বাজি রেখে এ আমানত রক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, চক্রান্তকারীরা বসে নেই। তারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠতে পারে। তাই সময় থাকতে পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিতে হবে।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম. রেজাউল করিম বলেন, উপমহাদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র গণসংগঠন, যা একটি বিশাল মহীরুহ এবং ভয়াল ও ভয়ংকর ঝড়-ঝাপটায় কখনো শিকড়চ্যুত হয়নি। যারা শিকড় উপড়ে ফেলতে চেয়েছে তারাই ধরাশারী হয়ে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী প্রমুখ।
সভা শেষে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন কর্ণফুলী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এমআর/টিসি