মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একে খান গেইট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার এবং নতুন ব্রিজ ও বহদ্দারহাট এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
একে খান গেইটে ৩৫০ টাকার ভাড়া ৫০০ টাকা রাখায় শাহী পরিবহণকে ১০ হাজার টাকা এবং বৈধ কাগজ না থাকায় পরিবহণটির ড্রাইভারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখে কাউন্টার বন্ধ করে পালিয়ে যান জোনাকী পরিবহণসহ বাড়তি বাস ভাড়া আদায় করা কয়েকটি পরিবহণের কর্মকর্তা-কর্মচারী।
পরে ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার একে খান গেইট এলাকায় সড়কে দাঁড়ানো বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাসে ওঠে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং যেসব বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হয়েছে, সেসব বাসের লোকজনকে বাড়তি ভাড়া ফেরত দিতে নির্দেশ দেন।
এ সময় বাড়তি ভাড়া আদায় করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধে কয়েকটি পরিবহণের চালক-মালিককে আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনের মতো একে খান গেইট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় বাড়তি বাস ভাড়া আদায় করা কয়েকটি পরিবহণের লোকজন কাউন্টার বন্ধ করে পালিয়ে যান। কয়েকটি পরিবহণকে জরিমানা এবং সতর্ক করা হয়। নগরবাসীর ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে এলেন ম্যাজিস্ট্রেট
নগরের নতুন ব্রিজ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। সেখানে বিভিন্ন পরিবহণ চালক-মালিককে যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া বাড়তি বাস ভাড়া ফেরত দিতে নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় চট্টগ্রাম-পটিয়া সড়কের একটি মিনিবাসের চালককে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বহদ্দারহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। সেখানে বাড়তি বাস ভাড়া আদায়করী চালকরা গাড়িতে যাত্রী রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় না করার মুচলেকা আদায় করা হয়।
যাত্রীদের কাছে নিজের মোবাইল নাম্বার দিয়ে ফের বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলে জানাতে বলেন ম্যাজিস্ট্রেট।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ ছিলো, অভিযান শেষে আমরা চলে যাওয়ার পর ফের বাড়তি বাস ভাড়া আদায় করেন পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা। এজন্যে বাসের যাত্রীদের মেবাইল নাম্বার দিয়ে এসেছি। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
এমআর/টিসি