কিন্তু লোকাল বাসের ভাড়া শুনে তার চোখ কপালে ওঠার অবস্থা! অন্যদিন নতুন ব্রিজ থেকে লোহাগাড়া যেতে ভাড়া যেখানে ৮০ টাকা, সেখানে মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) বাসের লোকজন ভাড়া দাবি করছেন ২০০ টাকা!
আরমান উল ইসলাম বলছিলেন, নতুন বিজ্র এলাকায় এসে দেখলাম চান্দগাঁও থেকে এখানের অবস্থা আরও করুণ। দ্বিগুণের চেয়ে বেশি ভাড়া দিয়েও লোকাল কিংবা সরাসরি বাস মিলছে না।
মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নতুন ব্রিজ এলাকায় অবস্থান করে দেখা গেছে শুধু আরমান নন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার যাত্রী এ ভাবেই ভাড়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।
চান্দগাঁও ও নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া ও কক্সবাজার পর্যন্ত যেমন বাস সার্ভিস রয়েছে তেমনি আনোয়ারা হয়ে বাঁশখালী ও পেকুয়া পর্যন্তও রয়েছে বাস সার্ভিস। ঈদসহ বিভিন্ন মৌসুমে এসব এলাকার যাত্রীর তুলনায় বাস থাকে কম। কখনো কখনো কৃত্রিম সংকটও সৃষ্টি করেন পরিবহনের লোকজন।
এ সুযোগে বাস মালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করেন দ্বিগুণ। কেউবা আবার নিয়মের তোয়াক্কা না করে যত খুশি যাত্রী তুলেন গাড়িতে।
মো. রাজিব নামের এক সরকারি কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে পেকুয়ার টইটং ভাড়া অন্যসময় ১০০ টাকা। কিন্তু এখন তারা নিচ্ছে ২০০ টাকা। বাস চালকরা এ পরিমাণ টাকা না দিলে বাসেই তুলছে না।
নুরুন্নবী নামে এক যাত্রী বাসে ওঠার সময় বাংলানিউজকে বলেন, বাঁশখালী উপজেলা পর্যন্ত অন্যসময় ভাড়া ৬৫ টাকা। কিন্তু এখন তারা ১৫০ টাকার না দিলে বাসে তুলছে না।
পুলিশ ছিলো দাঁড়িয়ে!
যাত্রীদের এতো অভিযোগ সত্ত্বেও নতুন ব্রিজ এলাকায় পুলিশকে দেখা গেছে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে। লোকমান হোসেন নামের এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে পুলিশকে অভিযোগ দেওয়ার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
তবে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট সুখন বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রীরা কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৮
জেইউ/টিসি