গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতকানিয়া উপজেলার মীর্জারখীল, চরতি, সুইপুর, গাটিয়াডাঙ্গা ও কেরাণীহাট, পটিয়া উপজেলার কালারপোল, হাইদগাঁও, মলপাড়া ও বাহুলী, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, গাছবাড়িয়া, হারালা, বাইনজুড়ী, কানাইমাদারি ও ঢেমশা, আনোয়ারার তৈলারদ্বীপ, বুরুমছড়া, বারখাইন, সরকারহাট, গহিরা ও বারশত, বোয়ালখালী উপজেলার চরণদ্বীপ, খরণদ্বীপ, পূর্ব গোমদণ্ডী ও পশ্চিম কধুরখীল, বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, পুঁইয়াছড়া ও ডোমার এবং লোহাগাড়ার ধর্মপুর ও কলাউজান।
সাতকানিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে আগাম ঈদুল আজহা উদযাপনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) সাতকানিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলায় আগাম ঈদুল আজহা পালিত হবে। ঈদ উদযাপন সুষ্ঠু ও সুন্দর করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এক দিন আগে ঈদুল আজহা উদযাপনকারী সবাই চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মীর্জাখীল সিলসিলিয়া আলীয়া জাহাঙ্গীর পীর দরবারের অনুসারী।
জানা গেছে, প্রায় দু’শ বছর আগে দরবারের পীরসাহেব তার মুরিদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি আরবে যেদিন চাঁদ দেখা যাবে তার পরদিন থেকেই বিশ্বের সব স্থানে রোজা পালন শুরু হবে। একইভাবে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহাও পালন করতে হবে।
এরপর থেকেই এসব গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালিত হয়ে আসছে।
এবার সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত হবে সাতকানিয়ার মীর্জারখীল জাহাঙ্গীর পীরের দরবার ও চন্দনাইশের কাঞ্চনাবাদ মমতাজিয়া দরবার শরিফে।
মীর্জাখীল দরবারের সাজ্জাদানশীন মাওলানা আবদুল হামিদ শাহ’র ইমামতিতে মীর্জাখীল দরবার শরিফে সকাল ৯টায় ও সাজ্জাদানশীন মাওলানা মাকসুদুর রহমানের ইমামতিতে একই দরবারে সকাল ১০টায় ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে চন্দনাইশের মমতাজিয়া দরবারের সাজ্জাদানশীন আল্লামা শাহ্সুফি সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলীর ইমামতিতে ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এমআর/টিসি