রোববার (১৯ আগস্ট) বিকেল পাঁচটায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ছিল লোকারণ্য। বেশিরভাগই মেঘনা’র আগাম টিকিট নেওয়া যাত্রী।
আরও খবর>>
** আগাম টিকিটের শেষদিনেও ভিড় চট্টগ্রাম স্টেশনে
সিইপিজেডের একটি কারখানায় কাজ করেন মো. জামাল হোসেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগাম টিকিট নিয়েও আসনের কাছে ঘেঁষতে পারছি না। বিনাটিকিটের যাত্রীরা, অন্য বগির যাত্রীরা উঠে পড়েছে। তিল ঠাঁই নেই। অথচ চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটের স্পেশাল ট্রেনে ভিড় ছিলই না।
জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, এবার যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে কোনো ট্রেনের ছাদেই যাত্রীদের উঠতে দিচ্ছি না। কেউ যদি উঠে পড়েনও ট্রেন ছাড়ার আগে নামিয়ে দিচ্ছি। এক দুর্ঘটনার জন্য কোনো পরিবারের ঈদের আনন্দ যাতে মাটি না হয় সেদিকে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।
যাত্রীদের সচেতন করতে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, স্টেশনের বাইরে যদি কোথাও জরুরি প্রয়োজনে ট্রেন থামে তবে যাত্রীরা যেন জানালা না খোলে সে ব্যাপারে সতর্ক করে বগির ভেতর নোটিশ লাগিয়েছি। অপরিচিত লোকজনের কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।
চট্টগ্রাম স্টেশনের ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, রোববার সকাল ৭টায় সুবর্ণ, ৭টা ২০ মিনিটে ময়মনসিংহগামী বিজয়, সাড়ে ৭টায় চাঁদপুরগামী সাগরিকা, সোয়া ৮টায় ঢাকাগামী চট্টলা, ৯টায় সিলেটগামী পাহাড়িকা, ১০টায় ঢাকাগামী কর্ণফুলী, সাড়ে ১১টায় চাঁদপুরগামী স্পেশাল ট্রেন, সাড়ে ১২টায় মহানগর, বিকেল ৩টায় গোধূলী, ৫টায় সোনার বাংলা, সোয়া ৫টায় মেঘনা চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এআর/টিসি