নগরের পাহাড়তলী থানার সাগরিকা গরুর হাটে মিরসরাই থেকে এই গরু নিয়ে এসেছেন বেপারী আব্দুল আজিজ। এই হাটে এটিই সর্বোচ্চ দামের গরু বলে জানান বাজার পরিচালনা কমিটির এক সদস্য।
আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ রকম আরও ১২টি গরু সাগরিকা হাটে তিনি তুলেছেন।
তিনি জানান, নাহার ডেইরি ফার্ম নামে তাদের নিজস্ব খামার রয়েছে। এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেড় শতাধিক গরু বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের সাগরিকা, এক কিলোমিটারের নূর নগর হাউজিং ও মিরসরাইয়ের সোনাপাহাড় নাহার ডেইরি ফার্মসহ আরও কয়েকটি ফার্মে এসব গরু বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।
এরই মধ্যে সাগরিকা হাটে ১২টির মধ্যে চারটি বিক্রি করা হয়েছে। বাকি আটটি গরুর দাম সর্বনিম্ন ১ লাখ ৩০ হাজার, সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা।
সাগরিকা হাটে গরুটি অনেকের কাছেই এখন আলোচনার বিষয়। কেউ কেউ বলছেন গরুটির দাম প্রকৃত বাজারে এত বেশি না হলেও কোরবানির বাজারে তা হতে পারে।
গরুর মালিক আব্দুল আজিজ বলেন, এখন পর্যন্ত দর উঠেছে ১০ লাখ টাকা। আর একটু বেশি পেলে গরুটি বিক্রি করে দেব।
এদিকে হাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেশিরভাগ গরুই ফার্মের। দেশি গরু হাটে কম ছিল। অনেক ক্রেতা বলেই ফেলছেন, সাগরিকা হাট লাখপতিদের।
নগরের আগ্রাবাদ থেকে আসা মো. জসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, হাটে প্রায় সব গরুই বড়। লাখ টাকার নিচে গরু কম। হয়তো কাল থেকে ছোট গরু আসতে পারে। বাজেট কম হওয়ায় আজকে গরুর কিনতে পারছি না।
সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবক টিমের সদস্যরা: সাগরিকা গরুর বাজারে দায়িত্ব পালন করছিলেন হালকা সবুজ অ্যাপ্রোন পরা ১০ তরুণ। তাদের দেখা গেছে, হাটে আসা গরুগুলোকে সারিবদ্ধভাবে বেঁধে রাখতে। রাস্তায় জটলা থাকলে জটলা না করতে বারণ করছেন।
টিমের সদস্য মো. আরমান বলেন, হাট যাতে সবসময় গোছানো হয় সেই চেষ্টা করছি। যাতে মানুষজন এসে স্বস্তি পান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
জেইউ/টিসি