ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘রিজভী আহমেদ স্বীকার করেছেন ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছেন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
‘রিজভী আহমেদ স্বীকার করেছেন ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছেন’ বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ প্রকারান্তরে এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছেন বলে স্বীকার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, রিজভী আহমেদ বলেছেন আমাদের কর্মকাণ্ডেই নাকি এক-এগারোর পথ প্রশস্ত হচ্ছে। এ কথা বলার মাধ্যমে রিজভী আহমেদ প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন তারা এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্রে যুক্ত আছেন।

প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। বহু ষড়যন্ত্র হয়েছে।
ষড়যন্ত্র কোথায় হচ্ছে, কীভাবে হচ্ছে মোটামুটিভাবে সব খবরই সরকারের কাছে আছে।

আরও পড়ুন>>
**
বেগম জিয়া-তারেকের দৃষ্টি আকর্ষণে মওদুদের ‘অবরুদ্ধ’ নাটক

শনিবার (১৯ আগস্ট) রিজভী আহমেদ মওদুদ আহমেদকে নোয়াখালীতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে মর্মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ উপস্থাপন করায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আগস্ট আসলেই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট কালোরাত্রিতে হত্যা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট বৃষ্টির মতো গ্রেনেড ছুড়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী মৃত্যুবরণ করেছিলেন। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে একযোগে ৫০০ জায়গায় বোমা হামলা হয়েছিল। এবার কিশোর-কিশোরীদের ঘাড়ে চড়ে যে ষড়যন্ত্র তা-ও আগস্ট মাসে হলো।

তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে হত্যার পথ বেছে নিয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনাকেও তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, দেশবিরোধী শক্তি, জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মদদদাতা বিএনপি-জামায়াতসহ যারা এক-এগারোর কুশীলব তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

এক প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির লোকজন হামলা করেছে।   গুজব ছিল। এগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট।   একটি পক্ষ ড. কামাল হোসেনসহ যারা হামলায় যুক্ত ছিল তাদের মুক্তির দাবিতে সরব।   কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা হলো সেটি নিয়ে কথা নেই।   আওয়ামী লীগের একজন নেতার একটি চোখ উপড়ে ফেলা হলো। ২১ জন গুরুতর আহত হলো। ৫০ জন আহত হলো। এভাবে গুজব ছড়ানো হলো সেগুলো নিয়ে কোনো কথা নেই। তাদের কাছে প্রশ্ন, এগুলো নিয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই কেন?

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি।  সামনে নির্বাচন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি সাড়ে নয় বছর ধরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, জনগণের জীবনমানের উন্নতি হয়েছে, জীবনমান পরিবর্তন হয়েছে, দেশে শান্তি-স্থিতি বজায় রয়েছে সে কারণে জনগণ আবার ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। এটি বুঝতে পেরেই তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।  ষড়যন্ত্র ২০১৩, ১৪, ১৫ সালেও হয়েছিল।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad