ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বেগম জিয়া-তারেকের দৃষ্টি আকর্ষণে মওদুদের ‘অবরুদ্ধ’ নাটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
বেগম জিয়া-তারেকের দৃষ্টি আকর্ষণে মওদুদের ‘অবরুদ্ধ’ নাটক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং দেশবাসীর মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মওদুদ আহমেদ ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখার নাটক সাজিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (১৯ আগস্ট) সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন।

আরও খবর>>
** ‘চারিদিকে সরকার পতনের শব্দ’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানের আস্থা হারিয়েছেন অনেক আগে।

তারা দুইজনই তাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। কিছু দিন আগে পত্রপত্রিকায় দেখেছেন বেগম জিয়ার আইনজীবী প্রতিনিধি দলকে বলে দিয়েছিলেন, মওদুদ আহমেদকে মামলায় যেন না রাখা হয়।
বিএনপির নেতা-কর্মীরাও তাকে সন্দেহের চোখে দেখেন। প্রকৃতপক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। এগুলো মনগড়া অভিযোগ। এটি সাজানো নাটক ছাড়া অন্য কিছু নয়।    

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ মওদুদ আহমেদকে নোয়াখালীতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে মর্মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ উপস্থাপন করায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে মওদুদ আহমেদকে কোনো ভাবেই অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। মওদুদ আহমেদ ইতিপূর্বে কখনো ঈদের ৫-৭ দিন আগে গ্রামের বাড়ি যেতেন না। তিনি সচরাচর সবসময় যত দিন ধরে রাজনীতি করছেন, ক্ষমতায় থাকাকালীন এবং কয়েক বছর ধরে ঈদের পর দিন গ্রামের বাড়ি যেতেন। কিন্তু গত রমজানের ঈদে ঈদের আগে গ্রামের বাড়ি গেছেন। এবার পাঁচ দিন আগে গ্রামের বাড়ি গেছেন। রমজানের ঈদের আগে কোটাবিরোধী আন্দোলন হয়েছিল। সেই আন্দোলনে বাতাস দিয়েছিলেন মওদুদ আহমেদসহ আরও অনেকে। সেই আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পর মউদুদ আহমেদ গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। তখনো তিনি অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল বলে গত রমজানের ঈদে আগেও নাটক সাজিয়েছিলেন।

এবারও কিছু দিন আগে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আমাদের কিশোর-কিশোরীরা আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। যেটিতে আমাদের পূর্ণ সমর্থন ছিল। সরকারের পূর্ণ সমর্থন ছিল। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ সমর্থন ছিল। প্রধানমন্ত্রী অর্থাৎ সরকার সব দাবি মেনে নিয়ে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছেন। সেই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মওদুদ আহমেদসহ আরও অনেকেই ২৫-৩০ বছরের যুবক ও মহিলাদের স্কুলের ড্রেস পরিয়ে, পেছনে ব্যাগ ঝুলিয়ে কোমলমতি সাজিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ব্যাগের মধ্যে পাথর, চাপাতি, লোহার রডও পাওয়া গেছে। মওদুদ আহমেদরাই এ কাজগুলো করেছিলেন। তাদের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে কিশোর-কিশোরদের ঘাড়ের ওপর চড়ে বন্দুক শিকারের যে পাঁয়তারা সেটি ব্যর্থ হয়েছে।

এরপর তিনি আবার কোম্পানিগঞ্জ-নোয়াখালী গেছেন। তিনি আবার অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে মর্মে নাটক সাজিয়েছেন। বলছেন, পুলিশ তাকে নাকি অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, সেখানে কোনো পুলিশ নেই। তার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি কয়েক ভাগে বিভক্ত। তাদের মধ্যেই দলাদলি আছে, কোন্দল আছে। এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে ঘায়েল করতে সবসময় তৎপর থাকে। তিনি সেটি আড়াল করতে সরকার, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়।  

মওদুদ আহমেদ ও রিজভী আহমেদকে অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের নাটক করে আপনাদের মধ্যে যে মতদ্বৈততা দ্বিধাদ্বন্দ্ব সেগুলো যেমন লুকোতে পারবেন না তেমনি মওদুদ আহমেদও তার দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনসহ নেতা-কর্মীদের যে আস্থা হারিয়েছেন এ নাটক করে তা ফিরে পাবেন বলে আমার মনে হয় না।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৮
এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad