গরু কিনতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতা আসলেও দরদাম আর দেখাদেখিতেই তারা সীমাবদ্ধ থাকছেন। কিনছেন কম।
শনিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে এমন দৃশ্যরই দেখা মিললো নগরের মুরাদপুর এলাকার বিবিরহাট গরু বাজারে।
ব্যাপারীরা জানান, বিবিরহাটে এবার প্রচুর দেশী গরু এলেও ক্রেতা কম।
কুষ্টিয়া থেকে বিবিরহাট গরু বাজারে আসা গরু ব্যাপারী আলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, প্রায় ১০০টি গরু নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) এখানে এসেছি। এখন পর্যন্ত মাত্র ১৩টি গরু বিক্রি করতে পেরেছি। ক্রেতারা দরদাম করে চলে যান।
তিনি বলেন, এখনো সময় আছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে গরু বিক্রি বাড়বে। সব গরু বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে পারবো।
উত্তর চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে ৭টি গরু নিয়ে এসেছেন মো. আবদুস সাত্তার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নিজের বাড়িতে নিজেই গরুর দেখাশুনা করেছি। নিজের সন্তানের মতো তাদের লালন-পালন করেছি। ভালো দামের আশায় এখানে গরু আনলেও ক্রেতারা দরদাম আর দেখাদেখিতেই সীমাবদ্ধ থাকছেন। এখনো সব গরু অবিক্রিতই থেকে গেছে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, সময় থাকায় ব্যাপারীরা গরুর দাম হাঁকছেন বেশি। অন্যান্য সময় যে গরুর দাম ৫০ হাজার দাবি করা হয়, তা এখন ৭০-৮০ হাজার দাবি করছেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে ছোট এবং মাঝারি গরুর দাম বেশি হাঁকছেন তারা।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিবিরহাট থেকে যারা কোরবানি পশু নেন, তাদের অধিকাংশই নগরে কোরবানি দেন। ভাড়া বাসায় গরু রাখতে অসুবিধার কারণে ঈদের একদিন আগেই সবাই গরু নেন। আবার শেষ সময় হওয়ায় বিক্রেতারাও কম লাভে গরু বিক্রি করে দেন।
বিবিরহাট গরু বাজারের ইজারাদার সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মাত্র ২৩টি গরু বিক্রি হয়েছে। তবে ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি বাড়বে।
বিবিরহাট গরু বাজার থেকে অবিক্রিত গরু নিয়ে কোনো ব্যাপারীকে ফিরতে হয় না বলে দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এমআর/টিসি