জাহাজটিকে বহির্নোঙর থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে চারটায় নিরাপদে জেটিতে আনা হয়। ১৪ আগস্ট জাহাজটি বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) জন্য তিনটি কিউজিসি নিয়ে বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী বহির্নোঙর থেকে যেকোনো জাহাজ বন্দরের নিজস্ব পাইলটরা জেটিতে নিয়ে আসেন। গ্যান্ট্রি ক্রেনবাহী জাহাজটি আনার সময় দায়িত্ব পালন করেন বন্দরের ছয়জন অভিজ্ঞ পাইলট।
ক্রেনবাহী জাহাজটি জেটিতে আনার কাজে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ক্রেনসহ এর অতিরিক্ত প্রস্থ এবং উচ্চতা। ১৫৩ মিটার লম্বা জাহাজটির প্রস্থ ৩৯ মিটার হলেও গ্যান্ট্রি ক্রেনের প্রস্থসহ জাহাজটির প্রস্থ দাঁড়ায় ১০২ মিটার। উচ্চতা দাঁড়ায় ৬৫ মিটার। তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেনসহ দৈত্যাকার জাহাজটি কর্ণফুলী নদী হয়ে বন্দর জেটিতে আনার সময় ড্রাই ডক, সব অয়েল জেটিসহ সংশ্লিষ্ট সব অপারেশন বন্ধ রাখা হয়। কোস্ট গার্ডের সহায়তায় চ্যানেল থেকে সব নৌযান সরিয়ে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার কারণে চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি) ও এনসিটির সব জেটি জাহাজশূন্য করা হয়।
বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম বাংলানিউজকে বলেন, সর্বোচ্চ সতর্কতায় তিনটি গ্যান্ট্রি ক্রেনবাহী জাহাজটি নিরাপদে জেটিতে আনা হয়েছে। এখন চীনা বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় এজেন্টরা গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলো আনলোডের কাজ করছে। আশাকরি, ৫-৭ দিনের মধ্যে আনলোডের কাজটি সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এআর/টিসি