বেপারীরা বলছেন, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৩য় কর্ণফুলী সেতু সংলগ্ন মইজ্জারটেক গরুর বাজারে আসা এটাই সেরা গরু। যার দাম হাঁকা হচ্ছে ৪ লাখ টাকা!
কুষ্টিয়া থেকে এরকম আরও ৭টি গরু এনেছেন বেপারী সাজ্জাদ আলী।
শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে হাটে গিয়ে দেখা যায় সোনামানিক ঘিরে ক্রেতা ও মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
তবে সাজ্জাদ আলীসহ তার সহযোগিরা সোনামানিকের যত্ন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ তেল মালিশ করছেন আর কেউ মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন।
সাজ্জাদ আলী বাংলানিউজকে জানান, মইজ্জারটেক বাজারে এখন পর্যন্ত ১০ মণ ওজনের সোনামানিকই সেরা গরু। গরুটি ৪ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চাই।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) থেকে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১৫ জন ক্রেতা গরুটি কিনতে এসেছে। তারা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছে। তবে ৪ লাখ টাকার নিচে বিক্রি করবো না।
সাজ্জাদ দাবি করেন, মোটাতাজাকরণের কোনো ট্যাবলেট খাইয়ে গরুটি বড় করেননি তিনি। এক বছর ধরে নিজে ও পরিবারের সদস্যরা সোনামানিকের লালন-পালন করেছেন। বিক্রির জন্য এবারই প্রথম হাটে তুলেছেন। তাই গরুটির দাম ৪ লাখ টাকা হাঁকা হয়েছে।
সাজ্জাদ আলীর সোনামানিকের পাশে ৮ মণ ওজনের অস্ট্রেলিয়ান জাতের আরেকটি গরু এনেছেন মো. মুকুল। পটিয়া থেকে বুধবার (১৫ আগস্ট) গরুটি বাজারে আনেন তিনি। যার দাম হাঁকাচ্ছেন আড়াই লাখ টাকা।
প্রায় তিন ঘণ্টা অবস্থান করে মইজ্জারটেক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আসা লোকজন ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর দরদাম করছেন বেশি। কেউ কেউ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা দামের মাঝারি আকারের গরু কিনে ফিরছেন। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, বেপারীরা দাম বেশি হাঁকাচ্ছেন।
মইজ্জারটেক বাজারের ইজারাদার মো. ইউসুফ বাংলানিউজকে জানান, যেসব গরুর দাম দুই লাখের বেশি, তার সবই এসেছে কুষ্টিয়া থেকে। বাজারে ৭০ ভাগ গরু কুষ্টিয়ার। এখন বেপারীরা দাম বেশি হাঁকালেও কয়েকদিন পর দাম কমে যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
জেইউ/টিসি