মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) আদালতে স্বপন দাশ জবানবন্দি দিয়ে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার রাতে স্বপন দাশকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে হাজির করলে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্বপন দাশ সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর বাহ্মণডেঙ্গা এলাকার দেবেন্দ্র জলদাশের ছেলে।
সদরঘাট থানার পরিদর্শক রুহুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, ‘২০০৪ সালের আগস্টে নগরের ডবলমুরিং থানার সানাই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বন্দুকযুদ্ধের পর পায়ে গুলিবিদ্ধ স্বপন দাশকে আটক করে র্যাব। এ ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়। ওই মামলায় তিন বছর জেল খেটে ২০০৭ সালে জামিনে বের হন স্বপন দাশ। মামলা দায়েরের সময় স্বপনকে যখন তার নাম জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন সে অমর দাশ বলে জানিয়েছিল। পরে দুটি মামলার এজাহারে তার নাম ছিল অমর দাশ। ২০১৭ সালে অস্ত্র মামলায় ১৭ বছর এবং বিস্ফোরক আইনে ৫ বছরসহ মোট ২২ বছরের সাজা হয় অমর (স্বপন) সহ অন্য আসামিদের। এজাহারে অমর (স্বপন) ঠিকানা লেখা আছে সদরঘাট থানা এলাকায়। জামিনে বেরিয়ে পলাতক থাকা স্বপনের সাজা পরোয়ানা এসেছে সদরঘাট থানায়। ’
রুহুল আমিন বলেন, ‘গত ৫ জুলাই অমরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে কারাগারে গিয়ে ২০০৪ সালে গ্রেফতার হওয়া আসামির শনাক্তকরণ চিহ্ন মেলানো হয়। কিন্তু শনাক্তকরণ চিহ্নে মিল পাওয়া যায়নি। এরপর ওই মামলায় কারাগারে থাকা আসামি মতিনকে দিয়ে অমরকে শনাক্ত করা হয়। তখন মতিন জানায় ২০০৪ সালে গ্রেফতার হওয়া আসামি আর অমর একই ব্যক্তি নন। অমরের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর স্বপনকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়। সোমবার রাতে সকালে কদমতলী এলাকা থেকে স্বপনকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে স্বপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এসকে/টিসি