মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম বিভাগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ধূমপানবিরোধী আন্দোলনে শতভাগ সহায়তার ঘোষণা দিয়ে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমার জীবনে একবারও সিগারেট আর পান খাইনি।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহে অনেক জমিতে আগে তামাকের চাষ হতো। চাষি নিজের জমিতে তামাক চাষ করত। এখন দাদনের মাধ্যমে অন্যের জমিতেও তামাকের চাষ হচ্ছে। যা উদ্বেগের। এ ব্যাপারে চাষিদের সচেতন করতে হবে। বিকল্প ফসল চাষে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তামাকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ইপসা’ ও ‘আত্মা’ আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আত্মার আহ্বায়ক, সাংবাদিক আলমগীর সবুজ।
ইপসার প্রধান নির্বাহী আরিফুর রহমান বলেন, ধূমপান রোধ ও তামাকের আগ্রাসন রোধে চট্টগ্রাম বিভাগ অগ্রগণ্য। তামাকের বিকল্প ফসল চাষ নিয়ে কাজ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আশঙ্কাজনক হারে তামাকের চাষ বাড়ছে। দুইটি উপজেলার তামাক চাষিদের বিকল্প ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা বলেন, আইন বাস্তবায়নে প্রজাতন্ত্রের কর্মী ছাড়াও জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের সচেতন মানুষের অংশগ্রহণ জরুরি। তামাকে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু নেই। তাই সম্মিলিত উদ্যোগ নিলে চট্টগ্রাম বিভাগকে ধূমপানমুক্ত করা সম্ভব হবে।
বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্ত্তী, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবুল কাসেম, সিনিয়র সাংবাদিক এম নাসিরুল হক প্রমুখ।
আলমগীর সবুজ বলেন, নতুন প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত প্রজন্ম হিসেবে গড়তে চায় 'আত্মা'।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোমিনুর রশিদ আমীন, সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর গিয়াস উদ্দিন ও আঞ্জুমান আরা বেগম, চট্টগ্রাম বিভাগের মাধ্যমিক শিক্ষার উপ-পরিচালক সুলতান মিয়া, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।
সভায় অধূমপায়ী বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৮
এআর/টিসি