সোমবার (১৩ আগস্ট) বাংলানিউজকে তিনি এ তথ্য জানান।
সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরের ১০টি পশুর হাটে আমাদের পু্লিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৮টি ও জেলা প্রশাসনের ২টি সহ মোট ১০টি পশুর হাটে ৩ হাজারের অধিক পু্লিশ সদস্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। ব্যবসায়ীরা টাকা আনা নেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করবে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, নগর বিশেষ শাখার সদস্য ছাড়াও র্যাব, আর্মড পুলিশ থাকবে। ’
সিএমপি যেসব পশুর হাটের নিরাপত্তায় কাজ করবে তা হলো- সাগরিকা গরুর বাজার ও বিবির হাট গরুর বাজার, নুর নগর হাউজিং এস্টেট গরুর বাজার, কাটগড় গরুর বাজার, সল্টগোলা গরুর বাজার, স্টীল মিল গরুর বাজার, কমল মহাজন গরুর বাজার, পোস্তারপাড় ছাগল বাজার, মইজ্জারটেক গরুর বাজার ও ফকিন্নিরহাট গরুর বাজার।
সোমবার বিকেলে পশুর হাট নিয়ে ইজারাদার, চামড়া ব্যবসায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে মতবিনিময় করেন সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ উল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) অলক বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, ‘সভায় সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়া এবং রাস্তার উপরে পশুর হাট না বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া পশুর হাটে পরিচয়পত্রসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, হাটের চৌহদ্দি নির্ধারণ, সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি, সালাম পার্টি, জাল টাকার বিষয়ে সতর্কতামূলক মাইকিং ও জেনারেটরের ব্যবস্থা, হাসিলের সুনির্দিষ্ট হার নির্ধারণ করে ব্যানার জুলিয়ে রাখা ও হাটের আশে পাশের খাবার দোকানদারদের পরিচয়পত্র প্রদান ও বহনের ব্যাপারে ইজারাদারদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ’
সভা থেকে সান্ধ্যকালীন ব্যাংক ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয় বলেও জানান অলক বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসকে/টিসি