ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জনবল সংকটে চলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
জনবল সংকটে চলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মেট্রো উপ-অঞ্চল ও জেলা কার্যালয়

চট্টগ্রাম: জনবল সংকটে চলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মেট্রো উপ-অঞ্চল ও জেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম। অনুমোদিত জনবলের অধিকাংশ পদ এখনও শূন্য। আর পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা এ সরকারি সংস্থার হিমশিম খেতে হয় নিয়মিত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মেট্রো উপ-অঞ্চলে অনুমোদিত জনবল রয়েছেন ৪৯ জন। অনুমোদিত পদগুলো হলো উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক, প্রসিকিউটর, তত্ত্বাবধায়ক, পরিদর্শক, সহকারী প্রসিকিউটর, হিসাবরক্ষক, উপ-পরিদর্শক, সহকারী উপ-পরিদর্শক, কম্পিউটার অপারেটর, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক, অফিস সহকারী, চালক, সিপাই ও অফিস সহায়ক।

 এসব পদের ২০টি এখন শূন্য। এ ছাড়া চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে অনুমোদিত পদ রয়েছে মোট ২০টি।
এর মধ্যে ৭টি এখন শূন্য।

জানা যায়, চট্টগ্রাম মেট্রো উপ-অঞ্চলে পদ শূন্য রয়েছে- সহকারী পরিচালকের পদে ১টি, প্রসিকিউটরের পদে ১টি, তত্ত্বাবধায়কের পদে ৪টি, পরিদর্শকের ৮টি পদের মধ্যে ১টি, সহকারী প্রসিকিউটরের পদে ১টি, হিসাবরক্ষকের পদে ১টি, উপ-পরিদর্শকের ৪টি পদের মধ্যে ২টি, সহকারী উপ-পরিদর্শকের ৫টি পদে ১টি, কম্পিউটার অপারেটরের পদে ১টি, সিপাইয়ের ১৭টি পদের মধ্যে ৬টি ও অফিস সহায়কের পদে ১টি। এর মধ্যে পরিদর্শক পদের দুইজন ও সিপাইয়ের পদে কর্মরত তিনজন টেকনাফ সার্কেলে সংযুক্ত রয়েছেন।

চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে পদ শূন্য রয়েছে- প্রসিকিউটরের পদে ১টি, হিসাবরক্ষকের পদে ১টি, অফিস সহকারীর পদে ১টি, চালক পদে ১টি, সিপাইয়ের ৬টি পদের মধ্যে ২টি ও অফিস সহায়কের পদে ১টি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষায়িত এ সরকারি সংস্থার জনবলের এমন নাজুক অবস্থার কারণে ক্ষোভ রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে। তাদের মতে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকারি এ সংস্থার যেরকম ভূমিকা রাখা দরকার তা রাখতে পারছেন না পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে।

জনবল সংকটের পরেও গত ছয় মাসে মাদক উদ্ধারে ‘সাফল্য’ রয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মেট্রো উপ-অঞ্চলের। এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৩১৬টি অভিযান পরিচালনা করেছে মেট্রো উপ-অঞ্চলের সদস্যরা। ৫৪৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে ৪৮৮টি। এ ছয় মাসে ৩ লাখ ৭ হাজার ৪৫৭ পিস ইয়াবা, ৫৫৬ বোতল ফেনিসিডিল, ১৬৫ গ্রাম হেরোইন, ৫৭ কেজি গাঁজা, ৭৬২ লিটার চোলাই মদ, ৪ বোতল বিদেশি মদ, ২ ক্যান বিয়ার ও মাদক বিক্রি বাবদ নগদ ৩ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকা উদ্ধার করেছে মেট্রো উপ-অঞ্চলের সদস্যরা।

চট্টগ্রাম মেট্রো উপঅঞ্চলের উপ-পরিচালক শামীম আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। পর্যাপ্ত যানবাহনের অভাব রয়েছে। তবুও আমরা চেষ্টা করি আমাদের কাজ করে যেতে। ’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যদের নিয়মিত অভিযানে ‘মাদক ব্যবসায়ীরা’ ধরা পড়ছে বলে জানান শামীম আহমেদ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রয়োজনের তুলনায় জনবল কম রয়েছে আমাদের। মাদক উদ্ধার ও অভিযান পরিচালনা করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। অনেক সময় মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবুও আমাদের সাফল্য কম নয়। মাদক পাচারকারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে জনবল বাড়ানোর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এসকে/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।