রোববার (১২ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রামে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল চসিক কনফারেন্স হলে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে ছাত্ররা তাদের আন্দোলনের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি দাওয়া পূরণ হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ এবং আরও কিছু দাবি পূরণ না হওয়ায় সেই বিষয়ে সিটি মেয়রের সার্বিক সহায়তা কামনা করেন।
ছাত্রদের প্রতিনিধি দলের সদস্য মিনহাজ চৌধুরী নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। তাদের পূরণ না হওয়া দাবিগুলো উত্থাপিত করেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নিউ মার্কেট মোড়, আগ্রাবাদ বাদামতলির মোড়, জিইসি মোড়, মুরাদপুর মোড়ে ফুট ওভার ব্রিজ বা আন্ডারপাস নির্মাণের ব্যবস্থা করা, নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্প্রিড বেকার স্থাপন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে গতিরোধক সাইনবোর্ড স্থাপন ও বাসস্টপেজ চালুর বিষয়ে সড়ক পরিবহণ ও বাস মালিকদের সঙ্গে মেয়রের উদ্যোগে বৈঠকের ব্যবস্থা করা, গণপরিবহণ ও নগরে চলাচলরত বিআরটিসি’র বাস সমূহে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করা, পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে নির্দ্দিষ্ট সময়ের আগে নগরে ঢুকতে না দেয়া ইত্যাদি।
সাক্ষাতকালে শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম শহরকে তুলনা করা যৌক্তিক নয়। নতুন ঢাকা পরিকল্পিত শহর। কিন্তু আমাদের চট্টগ্রাম অপরিকল্পিত ও পুরানো শহর। আমরা এ নগরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। এ শহরে রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। অথচ উন্নত রাষ্ট্রের শহরগুলোতে রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ওয়াসা, সিডিএ, বিটিআরসিসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার একাধিক উন্নয়নকাজ চলার কারণে নগরের সড়কগুলোর অবস্থা নাগরিক চাহিদা অনুযায়ী পুরোপুরি চলাচল উপযোগী নয়।
নগরের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ ও যাত্রী ছাউনী স্থাপন করা হবে বলে উল্লেখ করেন সিটি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে আমরা নগরের বেশকিছু সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেছি। ফুটপাতে ভাসমান হকারদের বিকেল ৫ টার পরে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছি। এতে করে চট্টগ্রাম নগরে বসবাসরত হতদরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষজন সহজে কেনাকাটার সুযোগ পাচ্ছে।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সমালোচনা থাকলেও রাতারাতি হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যায় না। তারপরও আমরা হকারদের মাঝে কাউন্সিলিং করে শৃঙ্খলায় আনার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক, সন্দ্রাস ও জঙ্গীবাদকে ধর্মীয় অনুশাসনই এ মরন ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ দিতে পারে। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা একজন ছাত্র কখনও অসামাজিক ও অন্যায়কাজে লিপ্ত হতে পারে না বলেও মত প্রকাশ করেন সিটি মেয়র।
সাক্ষাতকালে কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, শাহিনুল ইসলাম, ফারজানা মুক্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৮
এসবি/টিসি