বাকি নয়টি ট্রেনের টিকিটের জন্য যাত্রীরা ১০-১২ ঘণ্টা আগে থেকে লাইনে দাঁড়ান। রাতজেগে সকালে টিকিট হাতে নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফেরেন তারা।
বুধবার (০৮ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম স্টেশনের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, আগাম টিকিটের প্রথম দিন চট্টগ্রাম থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের ৯টি আন্তঃনগর ট্রেন ও একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মোট ৬ হাজার ৯৭৫টি টিকিট রয়েছে। ট্রেনগুলো হচ্ছে-সুবর্ণ, তূর্ণা, মহানগর, সোনার বাংলা, মেঘনা, পাহাড়ীকা, গোধূলী, উদয়ন, চট্টলা ও বিজয়।
এর মধ্যে কাউন্টারে বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৯৮৯টি। অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ২৫ শতাংশ। ভিআইপি ও রেলওয়ের কর্মীদের জন্য ৫ শতাংশ করে মোট ১০ শতাংশ সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, ১০টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আটটিতে আগাম টিকিট এবং দুইটিতে নিয়মিত ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। টিকিট কালোবাজারি রোধে রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।
তিনি জানান, বুধবার (৮ আগস্ট) বিক্রি হচ্ছে ১৭ আগস্টের টিকিট। ৯ থেকে ১২ আগস্ট বিক্রি হবে ১৮ থেকে ২১ আগস্টের টিকিট। একজন সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারছেন। সুবর্ণ ও সোনার বাংলা ট্রেনে আসনবিহীন টিকিট ইস্যু হবে না। অন্য ট্রেনগুলোতে যাত্রার দিন আসনবিহীন টিকিট পাওয়া যাবে।
কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ের একটি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করেন আলী আকবর। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কিশোরগঞ্জ যাওয়ার জন্য বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট নিয়েছি চারটি। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) রাত আটটায় এসে লাইনের শুরুতে দাঁড়িয়েছিলাম। সারা রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি শুয়ে বসে। সকালে টিকিট পেয়েছি। বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করার বিষয়টি নিশ্চিত হলো।
রাত ১০টায় এসেছিলেন একটি বেসরকারি সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মোজাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, ময়মনসিংহের টিকিট কিনেছি। খুব ভালো লাগছে আরামে বাড়ি যেতে পারবো ভেবে।
সকাল আটটার আগেই অন্য টিকিট কাউন্টারগুলোতে টিকিট প্রত্যাশীদের যখন দীর্ঘ লাইন তখন মেঘনা এক্সপ্রেসের ৭ নম্বর কাউন্টারটি ছিল একেবারে ফাঁকা।
পাশে দায়িত্বরত রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের যাত্রী তুলনামূলক বেশি। তাই স্পেশাল ট্রেনও চলে ঈদের আগে পরে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ১৭ আগস্টের যাত্রীদের ভিড় নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৮
এআর/টিসি