রোববার (০৫ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিবির সন্দেহে এরকম ৫ জনকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন তারা।
আরও খবর>>
**শিবির সন্দেহে আটক ২, ওয়াসার মোড়ে ছাত্রলীগ
শুধু ছাত্রলীগ নয়, মোবাইল ঘেঁটে সরকার বিরোধী কী-না তা যাচাই করতে দেখা গেছে খোদ পুলিশকেও।
বেলা ১১টা, ওয়াসা মোড়ের একপাশে সন্দেজনক ঘোরাঘুরি করছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (আইআইইউসি) ছাত্র মো. সিফাত। সন্দেহ হলে তার মোবাইল চেক করেন নগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
গিয়াস নামে এক ছাত্রলীগ তার মেসেঞ্জার ঘেঁটে দাবি করেন, তিনি শিবিরের কর্মী। পরে তাকে হালকা মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশও এসময় তার মোবাইল চেক করে জিজ্ঞেসবাদের জন্য থানায় পাঠান। এর ২০ মিনিট পর মোবাইল চেক করে আরও একজনকে শিবির সন্দেহে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রলীগ।
দুপুর ১টা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিবির সন্দেহে এরকম ৫ ছাত্রকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে ছাত্রলীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ ও কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন।
শাহ মো. আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে কোনো শিক্ষার্থীকে ওয়াসা মোড়ে জড়ো হতে দেখা যায়নি। এখানে যারা অবস্থান নিয়েছেন তারা সবাই ছাত্রলীগ। শিবির সন্দেহে তারা সকাল থেকে ৫ জনকে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। আমাদের কাছে তথ্য ছিলো কিছু জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা অরাজকতা করতে নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেবে। সেটির প্রেক্ষিতে আমরা ৫ জনের মোবাইল চেক করে দেখেছি। এর মধ্যে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ২ জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়:১৪১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৮
জেইউ/টিসি