ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে গণপরিবহন ‘উধাও’, জনভোগান্তি চরমে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০১৮
চট্টগ্রামে গণপরিবহন ‘উধাও’, জনভোগান্তি চরমে সড়কে গণপরিবহনসংকটে, অসহনীয় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। ছবি: সোহেল সরওয়ার

চট্টগ্রাম: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের কয়েকদিনের টানা বিক্ষোভের কারণে ‘নিরাপত্তার’ নামে ‘অঘোষিত’ পরিবহন ধর্মঘটে ডেকে নগর ও জেলার বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন চলাচল করছে না। হঠাৎ করে সড়ক থেকে গণপরিবহন ‘উধাও’ হওয়ায় অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

রোববার (০৫ আগস্ট) সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন সংকটে দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। সড়কে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ও কিছু অসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করলেও নগরসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহণ রাস্তায় চলাচল করছে না।

সড়কে গণপরিবহনসংকটে, অসহনীয় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।  ছবি: সোহেল সরওয়ারগণপরিবহন সংকটের কারণে নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার, ২ নম্বর গেইট, কালুরঘাট, আন্দরকিল্লা, নিউ মার্কেট, কাজিরদেউরি, অক্সিজেন মোড়, শাহ আমানত সেতুসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন।

নগরের দূরপাল্লার কাউন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।  কিছু কিছু যাত্রীকে কাউন্টারের সামনে ফিরে যেতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগামী লোকজন।  

গণপরিবহন সংকটের কারণে নগরের কালুরঘাট শিল্প এলাকার একটি পোশাক কারখানার শতাধিক শ্রমিক নগরের চকবাজার এলাকায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

এদিকে, নগরের নন্দনকানন এলাকা থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে বহদ্দারহাট যাচ্ছিলেন সাইফুল হক নামে এক ব্যাংকার। পথিমধ্যে নগরের গোলজার মোড় এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেলবাহী ৩ জন পরিবহনশ্রমিক গাড়ি থামিয়ে এ সিএনজি অটােরিকশা চালককে গাড়ি না চালাতে বাধ্য করেন এবং একটি তার ছিড়ে দেন। পরে সিএনজি অটোরিকশাটি রাস্তার একপাশে রেখে যাত্রীকে নামিয়ে দেন।
সড়কে গণপরিবহনসংকটে, অসহনীয় দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।  ছবি: সোহেল সরওয়ারসাইফুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আজকে সপ্তাহের প্রথম দিন, অফিসে তো যেতেই হবে। বাসা থেকে বেরিয়ে কোন সিএনজি অটোরিকশা পাচ্ছিলাম না। পরে দ্বিগুণ ভাড়ায় এ সিএনজিটি নিয়ে বহদ্দারহাট যাচ্ছিলাম। মাঝখানে মোটরসাইকেলবাহী ৩ পরিবহনশ্রমিক গাড়িটি থামিয়ে দিলো এবং না যেতে বাধ্য করলো। আন্দোলনের নামে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক হয়েছে, প্রশাসনের এবার এসব আন্দোলন থামানো দরকার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।   

চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পুলিশ যেখানে আমাদের নিরাপত্তা দেবে সেখানে, উল্টো আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা সড়কে গাড়ি চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছি। ’  

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৮
এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।