শনিবার সকালে নগরের চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান আজিজ বলেন, ‘গত ৩০ জুলাই রাত আটটার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের শিক্ষক ক্লাব থেকে আটক করে নিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ৩০ জুলাই দুপুরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ হয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক’শ পুলিশ মোতায়েন ছিল বিভিন্ন জায়গায়। রাত পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান করছিলেন। শিক্ষক ক্লাবে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা অবস্থান করছিলেন। রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে দেখা করতে শিক্ষক ক্লাবে যায় রকিব। এ সময় ক্লাবের ক্যাফেটেরিয়ায় নাস্তার অর্ডার করে ব্যাডমিন্টন কোর্টে রকিব ও তার এক বন্ধু অপেক্ষা করছিলো। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এডিশনাল এসপি’র নির্দেশে বিনা কারণে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা কেউই রকিবের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে এমন খবর পাননি।
তিনি আরও বলেন, এতো শত পুলিশের উপস্থিতিতে রকিব কেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাবে ইয়াবা বিক্রি করতে যাবে? ওই ক্লাবে তো কোন শিক্ষক ও কর্মকর্তা ছাড়া কেউ যায় না। শিক্ষক ক্লাবের ভেতর থেকে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীকে বিনা অপরাধে আটকের পর সে ক্লাবে ইয়াবা বিক্রি করছিলো বলে উল্লেখ করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো সত্যি হাস্যকর ও অবিশ্বাস্য।
সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আজম নাছির উদ্দিনের কাছে দোষী পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি করেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে রাকিব যদি দোষী হয়, তাহলে তাকে ক্রসফায়ার দিলেও আমার কোন আপত্তি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৮
এসবি/টিসি