ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশীয় সংস্কৃতি বর্জন নয়, বরণ করা হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
দেশীয় সংস্কৃতি বর্জন নয়, বরণ করা হচ্ছে বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান

চট্টগ্রাম: আবহমান বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতি চালু রাখতে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন দেশীয় সংস্কৃতি বর্জন নয়, বরণ করতে কাজ করছে সরকার।

শুক্রবার (২০ জুলাই) নগরের শিল্পকলা একাডেমিতে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, উন্নয়ন মানে শুধু রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন নয়।

সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন হতে হবে। এ জন্যে সংস্কৃতির উন্নয়ন সবার আগে জরুরি।
কারণ সুস্থ সংস্কৃতি লালন বা ধারণ করা ছাড়া উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে কবি আবুল মোমেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে আমাদের বসবাস। এখানে আমরা সবাই নিজেকে এগিয়ে রাখতে চাই। ভালো পড়াশুনা করে ক্লাশে ফার্স্ট হতে চাই। সবার সেরা হতে চাই। কিন্তু এসব করতে গিয়ে আমরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠি। মনে হিংসা-বিদ্বেষ জন্ম নেয়।

জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।  ছবি: সোহেল সরওয়ারতিনি বলেন, সংস্কৃতি এসব থেকে আমাদের দূরে রাখে। সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলতে শেখায়। সামাজিক ও মানবিক হতে সাহায্য করে। সেরা হতে হলে শুধু শিক্ষার ওপর জোর দিলে হবে না। শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতি যুক্ত করতে হবে। সংস্কৃতিমনা হতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, সুস্থ সংস্কৃতিকে ধারণ করা মানুষ কোনো অপরাধ করতে পারেন না। কাউকে খুন করতে পারেন না। কিন্তু সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতি আমাদের সত্তা নষ্ট করছে। এ জন্যে অপসংস্কৃতি রোধ করা জরুরি।

তিনি বলেন, এখন গানের সুর, তাল, লয় বিকৃত করে ‘ফিউশনের’ নামে যা হচ্ছে তা সংস্কৃতিকে বিকৃত করারই নামান্তর। এ কারণে আমাদের তরুণ প্রজন্ম দেশীয় সংস্কৃতি জানছে না। তারা বিপথগামী হচ্ছে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে সরকার স্কুল পর্যায় থেকেই শিশুদের সুস্থ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে কাজ করছে। সারাদেশে সংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে। বলেন জেলা প্রশাসক।

সাংবাদিক ফারুক তাহেরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সায়মা ইউনুস, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা এবং জেলা কালচারাল অফিসার মুসলিম উদ্দিন।

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্ত্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোমিনুর রশিদ আমিন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. মমিনুর রশিদ, উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাশহুদুল কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আমিরুল কায়ছার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।