সিইউজের সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এক বিবৃতিতে শুক্রবার (২০ জুলাই) দুপুরের মধ্যে এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে বলে বিবৃতিতে নেতারা হুঁশিয়ার করে দেন।
আরও খবর>>**মামলা না নিলে আমরণ অনশনে যাবেন রাইফার বাবা
এদিকে উদ্ভূদ পরিস্থিতিতে নতুন কর্মসুচি নির্ধারণে শুক্রবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এতে সংগঠনের সকল সদস্যদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান নেতারা।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, শিশু কন্যা রাইফা’র মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের দু’টি তদন্ত কমিটি ম্যাক্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং হাসপাতালের তিন চিকিৎসককে দায়ী করে। মামলার এজাহারে তাদেরকেই আসামী করা হয়। বুধবার (১৮ জুলাই) বিকেলে এজাহারটি চকবাজার থানায় দাখিল করা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ প্রশাসন মামলাটি রেকর্ড না করে বিভিন্ন ছলছাতুরির আশ্রয় নেয়।
বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, এজাহারটি দাখিলকালে নগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন উপস্থিত সাংবাদিকদের এজাহারটি মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হবে বলে জানান। একইভাবে সিএমপি’র কমিশনার মাহবুবর রহমান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সাথে টেলিফোনে আলাপকালে এজাহারটি মামলা হিসাবে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে পুলিশ এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিভ্রান্ত করছেন।
বিবৃতিতে নেতারা, ক্ষতিগ্রস্ত যেকোন নাগরিক ন্যায় বিচার পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন রুবেল খানের এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে তার সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে।
রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় চকবাজার থানায় দাখিল করা এজাহারটি মামলা হিসাবে শুক্রবার দুপুরের মধ্যে রেকর্ড করা না হলে চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে বিবৃতিতে নেতারা হুশিয়ার করে দেন।
তারা আরও বলেন, অপপ্রচার করে আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা রাইফা’র মৃত্যুর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না।
বাংলাদেশ সময় : ২১৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এসবি/টিসি